Thursday, October 1, 2020

সমুদ্র বানিজ্য ভারতের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

দেশের সমুদ্র বানিজ্য ভারতের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

==================================================================
বাংলাদেশের বামপন্থীরা তেল গ্যাস বন্দর রক্ষার জন্যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। কিন্ত শেখের বেটি যখন ভারতের বন্দর দেশকে বেচে দিচ্ছে তখন উনারা নিশ্চুপ চুপচাপ।
গত দিন ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে একটি বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যাতে, প্রাইম মিনিস্টার অফিসের একটা মেমোর রেফারেনসে বলা হয়েছে.......
শেখ হাসিনার আগামি অক্টোবারের ভারত সফরের সময়ে, একটি নৌ চুক্তি সাক্ষর করা হবে যার ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা চট্টগ্রাম বন্দরের বদলে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে , আন্তর্জাতিক বানিজ্য করতে পারবেন।
এই মেমোতে দেখা যাচ্ছে , ভারত আবদার করেছে , বাংলাদেশের সাথে 'Protocol on Inland Water Transit and Trade (PIWTT)' and 'Coastal Shipping
Agreement নামে যে নৌ চুক্তি আছে তাতে এমেন্ডমেন্ড করতে হবে যেন , সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের যে ইম্পরট এক্সপোর্ট তা শুধু চট্টগ্রাম নয় , ভারতের ভিশাখাপত্তম, চিম্বারনার এবং কমরাজান পোর্ট দিয়েও করার সুযোগ দিতে হবে।
ভারত চাইতেছে, আন্তরজাতিক বানিজ্যের মাদার ভেসেল গুলো থেকে কন্ইটেনার এই পোর্ট গুলোতে নামবে এবং সেই খান থেকে ফিডার ভেসেল দিয়ে ঢাকার পানগাও বন্দরে কন্টেনার নিয়ে আসা হবে। এবং এর ফেলে চট্টগ্রাম বন্দর সম্পূর্ণ ভাবে বাইপাস হবে। এতে, ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে জ্যাম কম হবে। আমাদের কন্টেনার জট কমবে। এত্তো গুলা উপকার হবে বাংলাদেশের।
একই রিপোর্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের ইন্সটিটিউট অফ ফরেন ট্রেড এবং বিলস দিয়ে দুইটা সার্ভে করেছে , এই চুক্তির লাভ ক্ষতি যাচাই করতে। এবং এই সারভে গুলোতে দ্বিধাহীন ভাবে মত এসেছে , এই চুক্তি গুলো
"will not be beneficial"- মানে এই চুক্তিতে দেশের ক্ষতি হবে।
কিন্ত তবুও সরকার চুক্তিটি করতে চায়।
এবং সরকারের মনোভাবে এই মেমোতে প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনার অফিস থেকে মত দেওয়া হয়েছে ,
"(The) government may agree to expand the choice, leaving actual use to the business people based on their judgment of profit and convenience,"
" সরকার এই প্রস্তাবে রাজি হতে পারে। কিন্ত এই নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ দিবেনা। ব্যবসায়ীরা কোন পোর্ট ব্যবহার করবে সেই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের বুদ্ধি বিবেচনার উপরে ছেড়ে দিবে।"
এবং চুক্তি হওয়ার আগেই কিন্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়ে গ্যাছে।
"Shipping secretary Abdus Samad told the meeting that work is well under way to include those in the
list of ports of call to further easing of the bilateral trade"
এক দিকে ট্রানজিট চুক্তি অনুসারে সেভেন সিস্টারে মাল যাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং আরেক দিকে নতুন এমেন্ডমেন্ড অনুসারে বাংলাদেশের পন্য আমদানি-রপ্তানি হবে , ভারতীয় বন্দর দিয়ে।
আমি আন্তর্জাতিক মুক্ত বানিজ্যের পক্ষে , কিন্ত , এই ধরণের দ্বিচারিতা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে নয় ?
এই চুক্তি সাক্ষর হলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরের বদলে ভারতের বন্দরে পন্য খালাস করলে, সবেধন নীল মনি চট্টগ্রাম পোর্ট, ট্রান্সপোরট সেক্টর এবং আরো অনেক গুলো সেক্টরে কি অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে পরবে তা চিন্তা করাও মুশকিল।
কিন্ত , ৩০ সেপ্টেম্বার এই রিপোর্ট ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হয়ার পরেও , তেল গ্যাস বন্দর রক্ষা কমিটির এই নিয়ে কোন আওয়াজ নাই। অথচ এর আগে এই ধরনের চুক্তির আভাস উঠলেও উনারা সারা দেশে মিটিং মিছিল করে বেড়াইত।
এখন পত্রিকায় রিপোর্ট আসার পরেও উনাদের কিছু যায় আসেনা।
হয়তো , মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাহেবরা ভাবতেছেন , শেখের বেটি শেখ হাসিনাকে যারা ভুল বুঝিয়েছে তাদেরকে বোঝাতে হবে , তারা যেন শেখ হাসিনাকে ভুল না বোঝায়। কারণ শেখের বেটি দেশের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
মঞ্জুরুল হক সাহেবরা যেহেতু মনে করেন , যতদিন আওয়ামী লিগের গ্রহনযোগ্য বিকল্প তৈরি না হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় রাখতে হবে , এই জন্যই হয়তো তারা দেশ বিরোধী এই চুক্তি গুলোও মেনে নিচ্ছেন।
কারন ঝলন্ত কড়াই থেকে ফুটন্ত উনুনে পড়লে তো ভয়ংকর বিপদ। দেশকে এমন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।
তাই যেভাবেই হোক শেখের বেটিকে রক্ষা করতে হবে।
বন্দর রক্ষা গোল্লায় যাক।
এমনকি মুখ দেখানো আন্দোলন ও আর দরকার নাই।
.
Zia Hassan

No comments:
Write Comments

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();