Thursday, January 28, 2021

কল-রেডী

 কল-রেডী" । কল-রেডী আছে আগের জায়গায়। পুরান ঢাকার


লক্ষ্মীবাজার, বয়স হলো ৬৭।"
খুব পরিচিত একটা নাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের
ভাষনেও আমরা এই "কল-রেডী" দেখি। আসুন "কল-
রেডী"র ইতিহাস জানা যাক।


কল-রেডী'র ইতিবৃত্তঃ
"১৯৪৮ সালে সূত্রাপুরের দুই ভাই হরিপদ ঘোষ ও দয়াল
ঘোষ মিলে একটি দোকান চালু করেন। নাম আরজু
লাইট হাউস। লাইট হাউস নাম হলেও লাইটের
পাশাপাশি গ্রামোফোনও ভাড়া দেওয়া হতো।
বিয়ে-শাদিতে লাইটের সঙ্গে গ্রামোফোনও ভাড়া
নিত লোকজন। দোকানটি পরিচিত হয়ে ওঠে অল্প
দিনেই। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে
কয়েকটি মাইক নিয়ে আসেন দুই ভাই। তাতেও
কুলাচ্ছিল না। হরিপদ ঘোষ মাইকের কারিকরি
জানতেন। যন্ত্রপাতি কিনে এনে নিজে কয়েকটি
হ্যান্ডমাইক তৈরি করেন।


১৯৪৮ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই পূর্ব
পাকিস্তানে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে।
আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মাইক ভাড়া নিতে শুরু
করেন আরজু লাইট হাউস থেকে। চাহিদা বাড়তে
থাকে দিনে দিনে। তাই তাইওয়ান, জাপান, চীন
থেকে আনা হয় মাইক। তবে মাইকের মূল অংশ মানে
ইউনিট বেশি আনা হতো বাইরে থেকে। এরপর
নিজের দোকানের কারিগর দিয়ে হরিপদ ঘোষ
তৈরি করিয়ে নিতেন হর্নসহ বাকি অংশ।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে সভা-
সমাবেশ বেড়ে যায়। এ ছাড়া সামাজিক আর ধর্মীয়
অনুষ্ঠানেও মাইক ভাড়া যাচ্ছিল। তাই মাইক দিয়ে
নাম দেওয়ার ভাবনা করলেন দুই ভাই। অবশেষে
দয়াল ঘোষ নামটি ঠিক করেন-কল-রেডী। কারণ
বললেন, মানুষ তো কাজের জন্যই আমাদের কাছ
থেকে মাইক ভাড়া নেয়। তারা কল করলে আমরা যেন
রেডি থাকি। এক কথায়, কল করলেই রেডী। সে থেকে
কল-রেডী।

ভালো সেবা দেওয়ার সুনাম থাকায় যেকোনো সভা-
সমাবেশ ও বড় বড় অনুষ্ঠানে ডাক পড়তে থাকে কল-
রেডীর। ১৯৫৪ সালে কল-রেডীর কর্মী ছিল ২০ জন।
সভা-সমাবেশ সুনামের সঙ্গেই সম্পন্ন করতেন
হরিপদ ও দয়াল ঘোষ। মাঝেমধ্যে তাঁদের ছোট দুই
ভাই গোপাল ঘোষ ও কানাই ঘোষও সাহায্য করতেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট
নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯
সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ
নির্বাচনের সভা-সমাবেশেও যোগ দিয়েছে কল-
রেডী। কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে
দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন পূর্ব পাকিস্তানের বাঘা
বাঘা নেতা।


বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণের মাইক্রোফোন হলো কল-
রেডী। হাটে-মাঠে-ঘাটে সব জায়গায় তখন
স্বাধিকারের চেতনায় ফুঁসছে মানুষ। সত্তরের
নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে সারা দেশের মানুষ ভোট
দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী
ক্ষমতা হস্তান্তর করে না। দফায় দফায় মিটিং
করেও হচ্ছে না সুরাহা। চলে এলো মার্চ। কল-রেডীর
মালিক হরিপদ ঘোষ ও দয়াল ঘোষকে ধানমণ্ডির
বাসায় ডেকে পাঠালেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দিলেন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে [তৎকালীন রেসকোর্স
ময়দান] মাইক লাগাতে। কাজে নেমে পড়েন হরিপদ
ও দয়াল ঘোষ। তখন রেসকোর্সে মাইক লাগানো
সোজা ছিল না-শাসকগোষ্ঠীর চোখ ছিল সদা
সতর্ক। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে মাইক
লাগাতে লাগলেন দুই ভাই। ৭ই মার্চের বাকি আর
তিন দিন। মাইক লাগিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে
দিলেন হরিপদ আর দয়াল ঘোষ। কিছু বাড়তি মাইক
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মজুদ রাখেন যেন
সমাবেশের দিন তাৎক্ষণিকভাবে লাগিয়ে নিতে
পারেন। তিন দিন ধরে ৩০ জন কর্মী নিয়ে বাঁশ, খুঁটি
গাঁথার কাজ করেন ঘোষেরা। তারপর সেই দিনটি
আসে-৭ই মার্চ। কবি গিয়ে দাঁড়ান জনতার মঞ্চে।
কল-রেডী'তে উচ্চা্রিত হলো ‘এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম
স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণকালে যেন কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি
না হয়, সে জন্য নিজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি
একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়েছিলেন
হরিপদ ঘোষ। অতিরিক্ত তিনটি মাইক্রোফোন
সঙ্গে রেখেছিলেন দয়াল ঘোষ।

এত বড় একটি সমাবেশে মাইক সার্ভিস দিয়ে কত
টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিল কল-রেডী? জানতে
চাইলে হরিপদ ঘোষের ছেলে কল-রেডীর বর্তমান
পরিচালক সাগর ঘোষ জানান, সেই সময়
পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করার সুযোগ বাবা ও
জ্যাঠা মশাইয়ের ছিল না। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ
দিয়েছেন সেটাই বড় কথা। আর তা ছাড়া দেশের
পরিস্থিতি তখন সবাই কম-বেশি জানতেন। আর
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাবা-কাকার ভালো সম্পর্ক থাকার
কারণে বাবা শুধু খরচটাই নিতেন। আরো বললেন,
‘সেদিন সেই সমাবেশে আমার বাবার হাতে তৈরি
অনেক হ্যান্ড মাইক ব্যবহৃত হয়েছিল।’

৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর যে
মাইক্রোফোনে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ
দিয়েছিলেন সেই মাইক্রোফোন, মাইক্রোফোনের
স্ট্যান্ড আজও আছে কল-রেডীর কাছে। দেশ স্বাধীন
হওয়ার পর আর অন্য কেউ সেই মাইক্রোফোনের
সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেননি। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২
সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আবারও কল-
রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ
দিয়েছিলেন।

দেশ-বিদেশের অনেক বিখ্যাত মানুষ কল-রেডীর
মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ, শেখ হাসিনাসহ আরো অনেকে
আছেন এই তালিকায়।

বিদেশের নেতাদের মধ্যে আছেন ভারতের ইন্দিরা
গান্ধী। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসে তাঁর জন্য
গড়া ইন্দিরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর
মাইক্রোফোনে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর
১৯৯৬ সালে ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা
কল-রেডীর মাইক্রোফোনে ভাষণ দেন।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন,
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়িও কল-
রেডীতে কথা বলেছেন। এর বাইরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সমাবর্তনে মাইক
সার্ভিস দেয় কল-রেডী।

১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শেখ
হাসিনার প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে মাইক
সার্ভিস দিয়েছে কল-রেডী।
কল-রেডী আছে আগের জায়গায়। পুরান ঢাকার
লক্ষ্মীবাজার, বয়স হলো ৬৭।"
লেখা সংগ্রহ: Fahim Al Shahriyarকপি
Read More

Sunday, January 24, 2021

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো?

==============================
যেরকম নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, খুব সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। বর্ণ হিন্দু থেকে শুরু করে কিছু কিছু মুসলমানও চাননি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক। কলকাতার হিন্দু এলিটরা ছিলো এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। তারা লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছে ১৮ বার স্মারকলিপি পাঠায় এই মর্মে যে, ঢাকায় যেনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হয়।
.
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন উঠে বঙ্গভঙ্গ রদের কাউন্টার রি-অ্যাকশন হিশেবে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে পূর্ববঙ্গের মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গের মধ্যে আশার সঞ্চার দেখে। অন্যদিকে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ায় পশ্চিম বঙ্গের হিন্দু জমিদারশ্রেণী ক্ষেপে যায়। তারা বিভিন্ন সভা-সমিতি করে প্রতিবাদ জানায়। ‘জমিদার’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সময় ‘রাখী বন্ধন’ উৎসবের ডাক দিয়ে হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের আহ্বান করেন।
.
ব্রিটিশ সরকার প্রতিবাদের মুখে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ১৯১১ সালে। এখন আবার মুসলিমরা অসন্তুষ প্রকাশ করে। বঙ্গভঙ্গের ফলে তাদের ঘরে যে আশার প্রদীপ জ্বলেছিলো, বঙ্গভঙ্গ রদের সাথে সাথে তা দপ করে নিভে যায়। বঙ্গভঙ্গ রদের ‘ক্ষতিপূরণ’ হিশেবে পূর্ববঙ্গের মুসলিম নেতৃবৃন্দ ব্রিটিশ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে।
.
১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জের সাথে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ, নওয়াব সৈয়দ আলী চৌধুরী, এ কে ফজলুল হক দেখা করেন। বঙ্গভঙ্গ রদের প্রতিক্রিয়া হিশেবে তাঁরা ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান । পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর মুসলিম জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার জন্য কেনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন সেটার স্বপক্ষে তারা যুক্তি দেখান।
.
লর্ড হার্ডিঞ্জ মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রস্তাব মেনে নেন । ব্রিটিশ সরকারের ডিশিসন মেকিং-এর দিকে তাকালে দেখা যায়, মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায় ছিলো তাদের কাছে- জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ! হিন্দু জমিদারদের তোপের মুখে পড়ে তারা বঙ্গভঙ্গ রদ করে, এবার মুসলিমরা তাদেরকে জাপটে ধরলো- আমাদেরকে একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিতে হবে। ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবকে সমর্থন করলো। এবার হিন্দুরা এসে বললো- মুসলমানদের জন্য আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়!?
.
মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রস্তাবের মাত্র ষোলো দিনের মাথায় ১৯১২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ডঃ রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটা হিন্দু প্রতিনিধি দল ভাইসরয়ের সাথে দেখা করে। তারা আপত্তি জানায়- কৃষক অধ্যুষিত পূর্ববঙ্গে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়? কেউ কেউ ব্যাঙ্গ করে বলে- চাষার দেশে আবার বিশ্ববিদ্যালয়!
.
‘পূর্ববঙ্গে একটা বিশ্ববিদ্যালয় হবে’ এটা শুনার সাথে সাথে কলকাতায় প্রতিবাদ শুরু হয়। এমনকি সেই প্রতিবাদের সুর ঢাকায়ও আসে। ১৯১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত কলকাতা, ঢাকাসহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১১ টি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়- ঢাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে দেয়া যাবে না।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের শিক্ষক ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার তার আত্মজীবনী ‘জীবনের স্মৃতিদ্বীপে’ লিখেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন উঠলে মুসলিমরা খুশি হলেও হিন্দুরা ক্ষেপে যায়। এমনকি কলকাতার যেসব হিন্দুরা কোনোদিন কোনো সভা-সমাবেশে যেতো না, তাদেরকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধীতার প্রশ্নে সভা-সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড়ো বিরোধী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। লর্ড হার্ডিঞ্জ তাকে জিজ্ঞেস করেন- কিসের বিনিময়ে আপনি বিরোধীতা বাদ দিবেন? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন-
.
যদি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো চারটি অধ্যাপক পদ চালু করেন, তবে আমি বিরোধীতা করবো না।
লর্ড হার্ডিঞ্জ সেটা মঞ্জুর করলে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা থেকে সরে আসেন।
.
সৌজন্য -- আরিফুল ইসলাম
Read More

Tuesday, January 19, 2021

আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন একদা রাসূল (ﷺ) সাঃ আমাদের নিয়ে একটু বেলা থাকতেই আসরের নামায (সলাত) আদায় করেন। অতঃপর সূর্য অস্ত ভাষণ দিলেন। উক্ত ভাষণে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে তার সমস্ত কিছুই বর্ণনা করেন। তাঁর সেই ভাষণটি যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে গিয়েছে।  [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১ ]


*মির ইবনে হুবাইশ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, তোমরা আমার কাছে, আল্লাহর কসম! কিয়ামতের পূর্বে প্রকাশ পাওয়া শত শত দল যারা যুদ্ধে লিপ্ত হবে তাদের সম্বন্ধে আমার কাছে জানতে চাওয়া হলে,আমি তাদের সেনাপ্রধান, পরিচালনাকারী এবং আহবানকারী সকলের নাম বলে দিতে পারব। তোমাদের এবং কিয়ামতের মাঝখানে যা কিছু সংঘটিত হবে সবকিছু পরিস্কারভাবে বলতে পারব।

[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৫ ]




*হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ(ﷺ)আমাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কিয়ামাত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সেসবের বর্ণনা দিলেন। কেউ তা মনে রাখলো এবং কেউ তা ভুলে গেলো। আমার এসব সাথী তা অবহিত আছে যে, ঐ সবের কিছু ঘটলেই আমি তা এরূপ স্মরণ করতে পারি যেরূপ কেউ তার পরিচিত লোকের অনুপস্থিতিতে তার চেহারা স্মরণ রাখে। অতঃপর তাকে দেখা মাত্র চিনে ফেলে।[1]

[সুনানু আবু দাউদ হাদীস নং ৪২৪০]

[1]. বুখারী, মুসলিম। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
*হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামেন (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি জানি না আমার সাথীরা ভুলে গেছেন না কি জেনে শুনে ভুলে আছেন। আল্লাহর কসম! কিয়ামাত পর্যন্ত ফিতনার সংখ্যা হবে তিন শতাধিক। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাদের প্রত্যেকের নাম, পিতার নাম ও গোত্রের নাম আমাদেরকে অবহিত করেছেন।[1]
(সুনান আবূ দাউদ হাদিস নঃ ৪২৪১)

(মিশকাত শরীফের হাদীস নং৫০৩৮সোলেমানিয়া বুক হাউস)
*ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী ও হাজ্জাজ ইবনু আশ শাইর (রহঃ) ..... আবূ যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (ﷺ)আমাদেরকে নিয়ে ফাজরের সলাত আদায় করলেন। তারপর মিম্বারে আরোহণ করে ভাষণ দিলেন। পরিশেষে যুহরের সলাতের সময় উপস্থিত হলে তিনি মিম্বার হতে নেমে সলাত আদায় করলেন। তারপর পুনরায় মিম্বারে উঠে তিনি ভাষণ দিলেন। এবার আসরের সলাতের ওয়াক্ত হলে তিনি মিম্বার থেকে নেমে সলাত আদায় করে পুনরায় মিম্বারে উঠলেন এবং আমাদেরকে লক্ষ্য করে খুতবাহ্ দিলেন, এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেল, এ ভাষণে তিনি আমাদেরকে পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে ইত্যকার সম্বন্ধে সংবাদ দিলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, যে লোক এ কথাগুলো সর্বাধিক মনে রেখেছেন আমাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে তিনিই সবচেয়ে বেশী জানেন। 
(সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) হাদিস নঃ ৭১৫৯)
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭০০৩, ইসলামিক সেন্টার ৭০৬০)


islam True religious



হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
*আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে দুই পাত্র (দুই প্রকারের ‘ইলম) শিখেছি। এর মধ্যে এক পাত্র আমি তোমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি, কিন্তু অপর পাত্রের ‘ইলম- তা যদি আমি তোমাদেরকে বলে দিই তাহলে আমার এ গলা কাটা যাবে।
(মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)হাদিস নঃ ২৭১)
সহীহ : বুখারী ১২০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ আবু হুরায়রাহ্(রাঃ) এর হাদিসের।
ব্যাখ্যা: হাদীসে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক দু’পাত্র ‘ইলম শিক্ষার কথা উল্লেখ আছে। ‘‘দু’পাত্র ‘ইলম শিক্ষা’’ কথাটির মর্মার্থ হচ্ছে যদি সে ‘ইলম লিখা হয় তাহলে দু’টি পাত্র পূর্ণ হয়ে যাবে। এক পাত্র ‘ইলমকে তিনি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। অন্য পাত্রের ‘ইলম যা তিনি মানুষের সামনে প্রকাশ করেননি; তা মূলত ফিতনাহ্ (ফিতনা) ও ব্যাপক যুদ্ধের খবরসমূহ, শেষ যামানাতে অবস্থাসমূহের বিবর্তন এবং যে ব্যাপারে রসূল (ﷺ) কতিপয় কুরায়শী নির্বোধ ক্রীতদাসের হাতে দীন নষ্ট হওয়ার খবর দিয়েছেন।

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কখনো কখনো বলতেন- আমি চাইলে তাদের নামসহ চিহ্নিত করতে পারি। অথবা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক গোপন করা ‘ইলম দ্বারা ঐ হাদীসসমূহও হতে যেগুলোতে অত্যাচারী আমীরদের নাম, তাদের অবস্থাসমূহ ও তাদের যামানার বিবরণ আছে। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কখনো কখনো এদের কতক সম্পর্কে ইশারা করতেন তাদের থেকে নিজের ওপর ক্ষতির আশংকায় তা স্পষ্ট করে বলতেন না যেমন তাঁর উক্তি- আমি ষাট দশকের মাথা ও তরুণদের নেতৃত্ব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) উল্লিখিত উক্তি দ্বারা ইয়াযীদ ইবনু মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর খিলাফাত এর দিকে ইশারা করতেন, কেননা তার খিলাফাত ছিল ষাট হিজরী সন। আল্লাহ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর দু‘আতে সাড়া দিলেন, অতঃপর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) ষাট হিজরীর এক বছর পূর্বেই মারা যান।

*হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন আমি রাসূল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি অবশ্যই অবশ্যই পৃথিবি ততদিন ধবংস হবে না,যতদিন না মানুষ পাচটি শাষকের দেখা পাবে। যারা আল্লাহর দ্বীনকে যুক্তি করে ধ্বংস করতে চাইবে। আর তারা পাচ শাষকই এক সাথে পৃথীবিতে উপস্থিত থাকবে। আমি(আবু হুরায়রাহ) বললামঃ""হে আল্লার রাসূল (ﷺ)
! সে পাচ জনের পরিচয় কী? তিনি বললেনঃ
[1]তাদের এক জন এই প্রবিত্র ভুমিতে আসবে।যার নাম হবে আমার নামের মতো।(মুহাম্মাদ) সে আরবের দ্বীনকে হাস্যকর বানাবে।আর অভিশাপ্ত জাতিকে বন্ধু বানাবে।
[2] দ্বিতীয় সে বিশ্ব শাষক হবে।আর মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্তে লিপ্ত থাকবে।
[3]তৃতীয় জন হিন্দুস্থানের বদশা,সে বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করবে।
[4].চতুর্থ জন,,- হিন্দুস্থানের দ্বীতিয় বাদশা।যে মুসমানদের হত্যার শপথ নিয়ে শাষন খমতায় যাবে।আর মুসলিম হত্যায় সে উন্মাদ হয়ে পড়বে।
[5] পঞ্চম -হলো,একজন নারী শাষাক,সে শাষন খমতা হাতে পেয়ে বা'আল দেবতার ইবাদত বৃদ্ধি করবে।আর মুশরিকদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করবে।আর মুসশমানদের হত্যা করবে। অথচ সে হবে মুসলমান। তখন দেখবে সেখানকার দুর্গম অঞ্চলের এক দূর্বল বালক তাদের ষড়যন্ত্রের সমাপ্ত ঘটাবে এবং মুমিনদের বড় বিজয় আনবে।
(কিতাবুল আক্বিব,হাদিছঃ১৭২)
(আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১৭৫)
*হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) বলেন,একদা এক মজলিসে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)
এর নিকট সাহাবাদের একজন জিঙ্গেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)
!""!!!আপনার বংশের মাহদীর আগমন কখন হবে? তিনি বললেন, ততদিন মাহদীর আগমন ঘটবে না, যতদিন না পাচ শাষকের ধ্বংস হবে।আর তারা একি সময়ের শাষক হবে। জিঙ্গেস করা হলো,তারা কোন দেশের শাষক হবে? তিনি বললেন তাদের একজন আরব ভুমি শাষন করবে। আর একজন নাসারা বিশ্ব শাষন করবে। আর তিন জন হিন্দুস্থান ভুখন্ডের হবে। তাদের একজন হবে নারী।বলা হলো,হে আল্লাহর রাসুল (ছাঃ) হিন্দুস্থানের শাষকরা কী মুসলমান হবে?তিনি বললেন--"",না"বরং একজন মুসলিম নারি শাষক হবে।কিন্তু তার সকল কর্ম হবে মুশরিকদের নিয়ে।

(কিতাবুল আক্বিব,২৯৮)
*হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,আমি রাসুল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন আল্লাহ তা আলা তোমাদের আদেশ দিয়েছেন মুশরিকদের তোমরা বন্ধু রুপে গ্রহণ করো না অথচ এমন একটি সময় আসবে যখন মুসমান আঞ্চলের দুইটি শাষক মুশরিকদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। আমি জিঙ্গেস করলাম হে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)
তাদের চেনার উপায় কী? তিনি বললেন,তাদের এক জন তোমাদের ভুমির হবে,,আর তার নাম হবে আমার নামের ন্যায়। আর একজন নারী হিন্দুস্থানের ক্ষুদ্র অঞ্চলের শাষক হবে।আর তারা দুজন একি সময় কালের শাষক হবে।

(আখীরুজজামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২৯৬)
*হযরত আনাস রাঃ বলেন,রাঃ বলেন, রাসুল (ﷺ)
বলেছেন, দুটি বালকের একসঙ্গের আক্রমনে ইহুদী সম্প্রদায় জেরুজালেম হারিয়ে ফেলবে।তাদের একটির নাম শুয়াইব ইবনে ছালিহ,অপরটির নাম হবে শামীম বারাহ ।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,৯১)
*হযরত মুআয ইবনে যাবাল রাঃ বলেন, রাসূল (ﷺ)
বলেছেন,অবশ্যেই আমার বংশের মাহদীর আগমনের পূর্বে কিয়ামত সংঘটিত হবে না। আর সে নিরাপদে জেরুজালেম ভ্রমণ করবে। আর ততক্ষন মাহদী জেরুজালেম ভ্রমন করবে না, যতক্ষন না অভিশপ্ত জাতি থেকে তা শামীম বারাহর দখলে না আসে। আর অবশ্যেই তা দিনের আলোর মত সত্য।
(আখিরুজ্জামনা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হাদিছ নং,৯৬)

*হযরত কাতাদাহ রাঃ বলেন রাসুল (ﷺ)
বলেছেন মাহদীর আগমনের পূর্বে আভিশাপ্ত জাতির সাথে
" শামীম বারাহর- নেত্রিত্ব মুমিনদের যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে জেরুসালেম মুমিনদের দখলে আসবে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হা.৯৭)
*হযরত সাদ ইবনে ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন রাসুল (ﷺ)
বলেছেন জেরুজালেম মুমিনদের দখলে যাবে,আবার তা ইহুদী সম্প্রয়াদ দখলে নেবে। অতঃপর আল্লহ তা আলা
শামীম বারাহর মাধ্যেমে আবার তা মুমিনদের দখলে আনবে।তখন মাহদী সেখানে নিরাপদে ভ্রমন করবে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হাদিছ নংঃ৯৮)

*হযরত জাবির রাঃ বলেন,রাসূল (ﷺ)
বলেছেন,অভিশপ্ত জাতির নিকট থেকে হিন্দুস্থান বিজয়ের সৈনিকরা অর্থাৎ গাজোয়াতুল হিন্দের বিজয়ী সৈনিকরা জেরুজালেম দখলে নেবে। আর তাদের সেনাপতি হবে শামীম বারাহ, যার উপাধী হবে 

★সাহেবে কিরাণ।★
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১০০)
*হযরত আবু যার (রাঃ) বলেন আমি রাসূল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি ইহুদী খ্রিষ্টানদের সাথে মুসমানদের দুটি বড় যুদ্ধ হবে।প্রথম যুদ্ধে পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুটি বালক নেত্রীত্ব দিবে,যাদের নাম হবে শুয়াইব আর শামীম বারাহ। এবং দ্বিতীয় যুদ্ধ নেত্রিত্ব দিবে মরিয়ম পুত্র ইছা আঃ আর দুটি যুদ্ধেই আল্লহ তাদের পাথর ও গাছ দিয়ে সাহায্য করবে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১৪১)
*হযরত আলী (রাঃ) বলেন রাসুল (ﷺ)
বলেছেন ইহুদী খ্রিষ্টানদের সাথে মুছলমানদের দুইটি বড় যুদ্ধ হবে।আর দুটিতেই মুসলমানদের সাহায্যের জন্য আল্লহ তা আলা """গাছ ও পাথরের """যবান খুলে দেবে। তার একটি হবে মরিয়ম পুত্র ইছা আঃ এর সময়। আর প্রথমটি মাহদীর আগমনের কিছু পূর্বে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১৪৭)
*হযরত জাহশ (রাঃ) বলেন আমি রাসূল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি অবশ্যেই কিয়ামতের পূর্বে ইহুদী খ্রিষ্টানরা পৃথিবিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।তখন "শুয়াইব "আর "শামীম বারাহ"১ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।আর সেই যুদ্ধে গাছ আর পাথর তাদের সাহায্যের উচিলা হবে।আর এটা মুমিনদের জন্য আল্লহর নিদর্শন।
( আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১৫৮)
*আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)বলেন, রছুল (ﷺ)
বলেছেনঃ ইমাম মাহদীর পূর্বে এক জন ইমামের আর্বিভাব হবে,আর তার নাম হবে "মাহমুদ।"তার পিতার নাম হবে আব্দুল। সে দেখতে হবে খুবই দুর্বল। তার চেহারায় আল্লাহ মায়া দান করবেন। আর তাকে সে সময়ের খুব কম লোকই চিনবে। অবশ্যেই আল্লাহ সেই ইমাম ও তার বন্ধু -যার উপাধি হবে """সাহেবে কিরাণ"""--তাদের মাধ্যমে মুমিনদের একটা বড় বিজয় আনবেন""

(কিতাবুল ফিরদাউস,৭৫৪)
( ইলমে রাজেন,৩৪৭) (ইলমে তাসাউফ,১২৫৩)
*হযরত আরতাত রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ইমাম মাহদীর শাষণ আমলের পর,দুই বছর ইমাম মাহমুদ বিশ্ব শাষণ করবে।যে হবে খুব কঠর,(শত্রুদের জন্য) আর দূর্বলদের জন্য কমল অন্তরের।
(কিতাবুল ফিরদাউস,হাদিছ নংঃ৭৭১) অধ্যাঃ যুদ্ধ বিগ্রহ,
*হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রছুল (ﷺ)
বলেছেন,শেষ জামানায় "ইমাম মাহমুদ" ও তার বন্ধু "সাহেবে কিরান বারাহর" প্রকাশ ঘটবে।আর তাদের মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বিজয় আসবে।আর তা যেন মাহদীর আগমনের সময়।

।(কিতাবুল ফিরদাউস, ৮৭২)
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন রাসূল (ﷺ)
বলেছেন,আমার যামানায় আমি মুনাফিকদের ঘৃণা করি কিন্তু হত্যা করি না।আর আমার যামানার শেষের দিকে আমার বংশের ইমাম মাহদীর পর,একজন ইমাম দু বছরের খেলাফত পাবে,,তার খেলাফতের সময় মুনাফিকদের প্রকাশ্য হত্যা করা হবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস,হাদিছ নংঃ ১২১০) অধ্যায়ঃ মুনাফিকের শাস্তির বর্ণনা,
*হযরত মুয়াজ ইবনে যাবাল রাঃ বলেন, রাসুল (ﷺ)
বলেছেন, মুসলমানদের শেষ বিজয় হবে মরিয়ম পুত্র ইসা আঃ এর মাধ্যমে আর তিনি ৩৩ বছর পৃথিবি শাষন করবে।তার পর আল্লহ এক শিতল বাতাস দিয়ে মুমিনদের মৃত্যু ঘটাবেন।

(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৩)
(আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২২৮)
*হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ বলেন,রাসুল (ﷺ)কে বলা হলো,হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আল্লহর নবি ইসা আঃ কত বছর পৃথিবি শাষন করবে?তিনি বললেন,৩৩ বছর।আর জান্নাতি যুবকদের বয়সও হবে ৩৩ বছর।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৪)
*হযরত কা'ব( রাঃ) বলেন,আমি রাসুল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি অচিরেই মুসলমানরা এক দূর্বল বালকের নেত্রিত্বে হিন্দুস্থান দখল করবে।আর এ যুদ্ধের ব্যপারেই তোমাদের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে।আর আল্লহও এই যুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সেখান থেকেই আল্লাহ মুশরিকদের পতন করে পৃথিবিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৭ নম্বার আয়াত পাঠ করলেন। সাহাবীগণ জিঙ্গেসা করলঃ হে আল্লহর রাসুল সা! তাহলে মানুষ দাজ্জালকে দেখবে কখন?তিনি বললেন,যখন জাহজাহ পৃথিবি শাষণ করবে তখন হিন্দুস্থান আবারও ইহুদীদের দখলে যাবে।আর তখন বায়তুল মুকাদ্দিস মুসলমানরা শাষন করবে।আর সেখান থেকে জাহজাহ কালোপতাকা নিয়ে এক দল সৈন্য হিন্দুস্থানে পাঠাবেন এবং হিন্দুস্থান দখল করে।তারা সেখানে ইসা ইবনে মরিয়ম আঃ এর আগমন পর্যন্ত অবস্থান করবে।আর আল্লহর নবি ইসা আঃ ৩৩ বছর পৃথিবি শাষণ করবে।

(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৭)
(কিতাবুল আক্বিব,১০০)
(আখীরুজ্জামানা আলমাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২৩৫)
*হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেন,আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি,,,রাসুলউল্লাহ (ﷺ) বলেছেন খুব শিগ্রহি হিন্দুস্থানের মুসরিকদের পতন হবে।আর তা হবে এক দূর্বল বালকের নেত্রিত্বে।।আর তার নাম হবে মাহমুদ। আল্লহ তার মাধ্যমে হিন্দুস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।অতঃপর তার মৃত্যুর পর তার এক প্রতিনিধির -- ইহুদীদের সাথে শান্তি চুক্তি হবে এবং ইহুদিরা হিন্দুস্থানের একটি অঞ্চল দখলে নেবে। সাহাবীগন বলল,হে আল্লহর রাসুল (ﷺ)
তারা কী শান্তি চুক্তি রক্ষা করে সেখানে বসবাস করবে?তিনি(রছুল ছাঃ) বললেন,না। বরং তারা চুক্তি ভঙ্গ করে প্রতারনা করে হিন্দুস্থান দখলে আনবে এবং সেখানে বসবাস করবে। আবার জিঙ্গাসা করা হলো,হে আল্লহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানগণ কী তাদের মোকাবেলা করবে না?তিনি বল্লেন,করবে।সে সময় মাহমুদের প্রতিনিধি বিশ্ব শাষকের নিকট সে ব্যপারে অনুমতি চেয়ে একটি পত্র পাঠাবে।তখন শাষক বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সেখানে একদল সেনা পাঠাবে এবং আবার ইহুদীদের পরাজিত করবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস, ১৫৩৮, এবং১৭০৩)
(কিতাবুল আক্বিব,১৩৭)

*হযরত বিলাল ইবনে বারাহ (রাঃ) বলেন, রাসুল (ﷺ)
বলেছেনঃ হিন্দুস্থান মুসলিমগন শাষন করবে।আবার তা মুশরিকরা দখল করবে এবং তারাই সেখানে তাদের সকল হুকুম প্রতিষ্ঠা করবে।আবার তা মুসলমানরা বিজয় করবে যাদের নেতা হবে মাহমুদ এবং সেখানে আল্লহর হুকুম প্রতিষ্ঠিত হবে।আর তা ইসা ইবনে মরিয়ম আঃ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত থাকবে। কিন্তু লা'নত ইহুদিদের প্রতি। একথা বলে তিনি (রছুল ছাঃ), রাগন্নিত হয়ে গেলেন।তার চেহাড়ায় রক্তিম চিহ্ন প্রকাশ পেল। সাহাবীগন তাদের কন্ঠ নিচু করে বললেন,হে আল্লাহর রাসুল সেখানে ইহুদিদের কর্ম কী? তিনি বল্লেন,অভিশাপ্ত জাতিরা মাহমুদের এক জন প্রতিনিধির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং সেখানকার একটি অঞ্চল তাদের দখলে নেবে। সাহাবীগণ!বললেন,তখন কী তারা (মোসলমানেরা) অভিশাপ্ত জাতিদের মোকাবেলা করবে না? তিনি বললেন,হ্যা করবে।আর তাদের সাহায্য করবে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেমের)একজন বাদশা।


(কিতাবুল ফিরদাউস,১৭০৮,কিতাবুল আক্বিব,১৩৮)
*হযরত আনাস রাঃ বলেন রাসুল (ﷺ)
বলেছেনঃ হিন্দুস্থান মুশরিকদের থেকে মুমিনরা বিজয় করবে।আর তাদের নেতা হবে মাহমুদ হিন্দুস্থানে সে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।আর তার সাভাবিক মৃত্যু হবে। তখন শামীম বারাহ আল্লাহর হুকুমত অটল রাখবে এবং তার মৃত্যুর পর সুশিংখল ভাবে চলতে থাকবে। এমন সময় এক প্রতিনিধির সাথে ইহুদীদের চুক্তি হবে এবং একটি অঞ্চলে তারা বসবাস করবে।অতঃপর, ইহুদীরা চুক্তি ভঙ্গ করে হিন্দুস্থান দখলে নেবে।তখন বায়তুল মুকাদ্দাসের (জেরুজালেমেরর) বাদশা ইহুদীদের পরাজিত করবে।

(কিতাবুল ফিরদাউস,১৭০৯,কিতাবুল আক্বিব,১৪০)
*হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে। সে তার সহচর বন্ধু "সাহেবে কিরান বারাহ" কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে। তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীরর প্রকাশের সময় হয়েছে।

(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ)( তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ)(ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ)(ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ)
(বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
উক্ত হাদিছ টি এই পাচটি গ্রন্থে উল্লেখ্য রয়েছে।
অধিকাংশ মুহাদ্দিছগন ব্যক্ত করেছেন,উক্ত হাদিছটি ছহিহ, কেউ কেউ বলেছেন,হাসান।)
আবু বছির (রঃ) বলেন, যাফর সাদিক (রঃ) বলেছেন,
মাহদীর আগমনের পূর্বে, এমন একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে, যিনি হবেন, মাতার দিক থেকে কাহতানি এবং পিতার দিক থেকে কুরাঈশী। তার নাম মাহদীর নামের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যমান হবে এবং তার পিতার নামও কিছুটা মাহদীর পিতার নামের সাদৃশ্যমান হবে।

(ইলমে তাছাউফ ঃ ১২৮ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ ২৩২ পৃঃ)
(মাহদির নামের মত নাম মাহমুদ)
*সাহল ইবনু সা'দ রাঃ বর্নিত,,,,তিনি বলেন, রছুল (ﷺ)বলেছেনঃ অচিরেই পূর্ব দিকে এক ফিৎতনা সৃষ্টি হবে।আর তা হবে মুশরিকদের দ্বারা। তখন মুমিনদের একটি দল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে। আর তাদের সেনাপতি হবে ঐ সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি "সাহেবে কিরান আর তাদের পরিচালনা করবে একজন ইমাম। যার নাম হবে "মাহমুদ" তারা "" মাহদীর ""আগমন বার্তা নিয়ে আসবে।

(তারিখুল বাগদাদ,১২২৯)
*বুরায়দা রাঃ হতে বণিত।তিনি বলেন,আমি রছুল (ﷺ)
কে বলতে শুনেছি খুব শিগ্রহই মুশরিকরা তাদের বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি করে দেবে,আর নির্বিচারে হত্যা করবে। তখন সেখান কার দূর্গম নামক অঞ্চল তথা. "বালাদি লিল উছরো"থেকে একজন দুর্বল বালক তাদের মুকাবিলা করবে। আর তার নেত্রিত্বেই মুমিনদের বিজয় আসবে। রাবি. বলেন,তিনি আরো বলেছেন,তার একজন বন্ধু থাকবে যার উপাধী হবে সৌভাগ্যবান।
(আসারুস সুনান, ৮০৩)
(আস সুনানু ওয়ারিদাতুল ফিতান,১৭৯১)

*আনাস রাঃ বলেন,একদা রছুল (ﷺ)এর এক মজলিসে আমি আর বিলাল রাঃ বসা ছিলাম। সে সময়ে আল্লাহর রছুল ছঃ বিলাল রাঃ এর কাধে তার ডান হাত রেখে বললেন,হে বিলাল! তুমি কী জানো তোমার বংশে আল্লাহ এক উজ্জল তারকার জন্ম দিবেন?যে হবে সে সময়ের সবচেয়ে সভাগ্যবান ব্যাক্তি। অবশ্যেই সে একজন ইমামের সহচর হবে।রাবি বলেন,সম্ভবত রছুল ছঃ বলেছেন,সেই ইমামের আগমন,ইমাম মাহদীর পূর্বেই ঘটবে।

(আসারুস সুনান, ৩২৪৮)
*হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একজন বাদশাহ ভারতের দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে এবং সেখানের যাবতীয় সম্পদ ছিনিয়ে নিবে। ঐ সময় ভারত বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একটি অংশ হয়ে যাবে। তখন তার সামনে ভারতের সৈন্য বাহিনী গ্রেফতার অবস্থায় পেশ করা হবে। প্রায় গোটা পৃথিবী তার শাসনের অধীনে থাকবে। ভারতে তাদের অবস্থান দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত থাকবে"।

( আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৫)
*হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “ অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেনন। এবং অতপরঃ তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায় (শামে) পাবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ (সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী ।”বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’ ।

(কিতাবুল ফিতান, ১২৩৬...মুসনাদে আহমাদ, শাইখ নাসের উদ্দিন আলবানী রহঃ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)

*হযরত আবু হুড়ায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন শেষ জামানায় পথভ্রষ্ট আলেম বৃদ্ধি পাবে আর তারা দ্বিন ইসলাম কে মৃত্যুর অবস্থাতে নিয়ে যাবে। ঠিক তখন আল্লাহ-- হযরত ওমর( রাঃ) এর বংশ থেকে একজন বালক কে পাঠাবেন।যার মাধ্যমে দ্বিন ইসলাম পুনরায় জীবিত হবে।

(কিতাবুল ফিরদাউসঃ৮০৬)
*হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা:)- বলেন,, রছুল (ﷺ)বলেছেন, কিয়ামত কিভাবে সংঘটিত হবে?যতক্ষণ না হযরত ওমরের বংশ থেকে একজন দুর্বল বালকের হাতে শাষন ক্ষমতা না যায়??

(কিতাবুল ফিরদাউস ৮১৩)
*হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ)- বলেনঃ রছুল (ﷺ)বলেছেন দুর্বল ব্যাক্তিরাই জান্নাতের অধিকারী। আর শেষ জামানায় একজন দুর্বল বালকের প্রকাশ ঘটবে, আর সে অত্যাচারি ও দাম্ভিক মুশরিকদের (মুর্তি পুজারীদের) মুকাবিলা করবে।

(কিতাবুল ফিরদাউস ৮৮০)
*হযরত কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, রছুল (ﷺ) বলেছেন নিশ্চই শেষ জামানায় মুশরিক দের সাথে মুমিন দের একটা বড় জিহাদ হবে।আর সেই যুদ্ধের শহিদ রা কতোই না উত্তম। আমি জিঙ্গেসা করলামঃ হে আল্লাহর রছুল (ছাঃ)! সেই জিহাদের নেতৃত্ব দিবেন কে? তিনি বললেনঃ ওমর (রাঃ)- এর বংশের একজন দুর্বল বালক।

(কিতাবুল ফিরদাউস ৭৮৭)
এই দেখুন কত দুর্বল হাদীস বাস্তবায়ন হয়েগেছে অলরেডি।
*হযরত তাবে’ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আশ্রয়প্রাথী আচিরেই মক্কার নিকট আশ্রয় চাইবে(১৯৭৯ সালে যা ঘটে)। কিন্তু তাকে হত্যা করে দেওয়া হবে। অতপর মানুষ তাদের যুগের কিছু কাল বসবাস করবে। অতপর আরেকজন আশ্রয় চাইবে। যদি তুমি তাকে পাও তাহলে তোমরা তাকে আক্রমন করিও না। কেননা সে ধসনেওয়ালা সৈন্যদলের একজন সৈন্য। [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৩৫ ]
______
Read More