নতুন আবিষ্কার বদলে দিতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাস
মার্চ ১৪, ২০১৮
সুন্দরবনে ১০০০-১২০০ বছর আগেকার মানুষের উপস্থিতির নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় ও বিদেশী গবেষকেরা। প্রায় প্রাচীন কিছু ভবনের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গিয়েছে সুন্দরবনের পাঁচটি স্থানে। তাছাড়া বনের ভিতরে ৮৩ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে আরো অনেক খুটিনাটি বস্তুর দেখা মিলেছে যা সে সত্যকে আরো বেশি দৃঢ় করে তোলে।
লবন উৎপাদনসোহরাব উদ্দিন সম্প্রতি জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দলের সাথে কাজ করেছেন। তারা বাংলাদেশে এসে সুন্দরবনের ভৌগলিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষনা করেছেন। তিনি বলেন যে, তাঁরা সুন্দরবনের কটকায় বেশ প্রাচীন কিছু লবন তৈরির চুলা ও অন্যান্য যন্ত্রের অংশবিশেষ এর দেখা পেয়েছেন।জার্মান গবেষকেরা সেগুলোর কার্বন ও অন্যান্য বিষয় গবেষনা করে সেগুলোর বয়স জানতে চেষ্টা করেছেন। সেই গবেষনা কাজে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার । এইসব লবন তৈরির কারখানার একটি ২৫০-৩০০ বছর আগেকার বলে জানান তারা। অন্য আরেকটি ৬০০ বছর আগেকার। আর এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতনটি ১০০০ বছর পুরাতন।গবেষকেরা সেখানে টাইগার হিল নামের একটি ঢিবির দেখাও পেয়েছেন। সেখানে তারা দেখতে পান যে, সেখানে পানি বিশুদ্ধিকরন ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল অনেক আগে। এ থেকে বোঝা যায় যে, ২০৫ থেকে ১০০০ বছর আগেও এখানকার মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে গিয়েছিলো । সুন্দরবন এলাকার মানুষ লবন উৎপাদন করে তা পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে রপ্তানী করত ।
No comments:
Write Comments