দুইপক্ষেই কিছু মানুষের বিষেদগার সহ্য করা সৈয়দ মুজতবা আলীর নাগরিকত্ব একাধিকবার পরিবর্তন হয়েছে। কখনো ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয়, পরবর্তীতে পাকিস্তানি, পরবর্তীতে হলেন ভারতীয়, সবশেষ হলেন বাংলাদেশি। তার মৃত্যুর ৩ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তার মত মানের একজন লেখক স্বাধীন বাংলাদেশ দেখে যেতে পেরেছেন এটা একটা স্বস্তির বিষয়। সেই সময়ের কিছু কম আলোচিত ঘটনা নিয়ে পোস্টটি, তাই একটু বড়। সময় থাকলেই পড়বেন।
পৈত্রিক সূত্রে দেশভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলার নাগরিক হিসেবে পাকিস্তানি হন। তার জন্ম করিমগঞ্জে, যা অল্পের জন্য ৪৭ এ বাংলাদেশের অংশ হয়নি। কিন্তু উর্দু বিরোধিতা করে রাজনৈতিক তোপের কারনে টিকতে পারেননি। তার মত সৃজনশীল ও প্রগতিশীল লেখকের জীবন যে পাকিস্তানে নিরাপদ না তা বুঝতে পেরে আবার চলে যান যান ভারতে ( এক প্রকার জীবন রক্ষায়)।
বন-বার্লিন-কায়রো ঘুরে আসা যাযাবর মুজতবা আলীকে বগুড়ায় টেনে এনেছিল এখানকার মানুষের ভালোবাসা। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে আজিজুল হক কলেজের বার্ষিক সাহিত্য সম্মিলনীর সভাপতি হিসেবে এ শহরে আসেন। তখন তাঁর বড় ভাই সৈয়দ মুর্তাজা আলী ছিলেন বগুড়ার ম্যাজিস্ট্রেট (সে সময় ম্যাজিস্ট্রেটই ছিলেন প্রশাসনিক প্রধান)। এখানে দুদিন তিনটি সভায় মজলিশি মেজাজে রসবোধ ও পাণ্ডিত্যের মিশেলে দুর্দান্ত বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময় ছাত্ররা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। অনুরোধ করেছিল বগুড়ায় থেকে যাওয়ার জন্য। এই কলেজ থেকে তখন মাত্রই বিদায় নিয়েছিলেন ভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনিই যাওয়ার সময় সুপারিশ করে যান, কলেজের পরবর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে মুজতবা আলীর কথা তাঁরা ভাবতে পারে।
মুজতবা আলী তখনো সংসার শুরু করেননি। কোথাও থিতু হওয়ার মানুষই তিনি ছিলেন না। পায়ের তলায় সরষে ছিল তাঁর। পৃথিবীর পাঠশালায় ঘুরে ঘুরে জীবনের ধারাপাত পড়তে চেয়েছিলেন ভীষণ। কিন্তু শেষে মত বদলান। কলকাতা থেকে চলে আসেন আধশহুরে বগুড়ায়। বড় ভাই মুর্তাজার প্রতি অন্য রকম টান ছিল। জার্মানিতে পড়ার সময় এই বড় ভাই প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে পাঠিয়েছিলেন। সেই সময়ের হিসাবে টাকাটা অনেক বড়। ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা তো ছিলই, বগুড়ার মানুষের ভালোবাসাও ভুলতে পারেননি।
কিন্তু শুরু থেকেই বিপত্তি। কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার পর প্রথম যে নিয়মটা তিনি করেন, শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী কলেজে আসতে ও যেতে হবে। যে অধ্যাপকেরা খেয়াল–খুশিমতো যাওয়া আসা করতেন, শুরুতেই তাঁরা পড়লেন বিপদে। আরেকটা ঝামেলা বাধল। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে হেরে গিয়েছিল মুসলিম লিগের অনুসারী ছাত্রসংগঠন। তারা অধ্যক্ষের ওপরে চাপ তৈরি করল নির্বাচন বাতিলের। না হলে মুজতবা আলী বিপদে পড়বেন বলেও শাসিয়ে গেল। কিছুতেই লাভ হচ্ছে না দেখে পরাজিত ছাত্রনেতারা ঢাকায় গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দেনদরবার করল।
মুজতবা আলী আগে থেকেই তাঁর লেখার কারণে প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্ষুশূল ছিলেন। এদের অনেকে বগুড়ায় তাঁকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগে নাখোশ হন। এর মধ্যে ১৯৪৮ সালের আগস্টে বিশদ আকারে প্রকাশিত হয় পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা নিয়ে সিলেটে দেওয়া তাঁর বক্তব্য। এবার মুজতবাকে কোণঠাসা করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় আজিজুল হক কলেজের সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধকে। যেখানে মন্ত্রীদের কটাক্ষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সরকারি চাকরি করে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মুজতবাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মুজতবা সে সময় ছিলেন ভাইয়ের সরকারি বাসভবনে। কলেজ অধ্যক্ষের জন্য কোনো বাসভবনও ছিল না। তাঁর বড় ভাই মুর্জাতাকেও জড়ানো হয়। পরিস্থিতিকে সুবিধাবাদীরা নানাভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে দেখে মুর্তাজা ঢাকায় এসে মুখ্য সচিব আজিদ আহমেদকে বলেন, ‘দেখুন, আমার ভাই ১৭ বছর আগে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছে। বগুড়ার মতো ছোট শহরে চাকরির জন্য সে আর মুখিয়ে নেই।’ তাঁর ভাইয়ের যে মেধা ও প্রজ্ঞা, সে সময় খুব কম মানুষেরই তা ছিল। নবগঠিত একটা দেশ যে মুজতবা আলীর মেধা কাজে লাগাচ্ছে না, উল্টো ষড়যন্ত্র করছে, এ নিয়ে হতাশার শেষ ছিল না মুর্তাজা আলীর।
সরকার মুর্তাজা আলীর কথাও শোনেনি। উল্টো তাঁকেও একপদ নিচে নামিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট করে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল চট্টগ্রামে। নিজের পরিবারকে এই বিপদ থেকে মুক্ত করতে মুজতবা আলী আবার ভারতে চলে যান। ১৯৫০ সালে যোগ দেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অধ্যাপক হিসেবে। এ সময় ভারতের শিক্ষামন্ত্রী মওলানা আবুল কালাম আজাদ তাঁকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশনস বিভাগে কাজ করার জন্য দিল্লিতে ডেকে নেন। ভারতের নাগরিক হন তিনি ১৯৫০ সালে। পরবর্তীতে প্রায় দেড় যুগ সেখানে ভালোই কাটে সময়। ভারতের রেডিওতেও কাজ করেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওর চাকরি চূড়ান্তভাবে ছেড়ে দেবার পর সৈয়দ মুজতবা আলী কলকাতায় ফিরে এলেন আবারও, ১৯৫৭ সালে। চাকরি নেই, বয়স বাড়ছে, শরীরও আগের তুলনায় দুর্বল। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত না থাকলেও আশেপাশে ভরসা জোগাবার মতো মানুষ কম। জীবিকা নিয়ে অস্থির অবস্থার মধ্যেই মুজতবা আলী কলকাতার পাট চুকিয়ে চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে। শান্তিনিকেতনে চলে আসার পরও মুজতবা আলী মানসিকভাবে খুব শান্তি পেয়েছিলেন বলে মনে হয় না। আর্থিক কষ্ট তাঁকে থিতু হতে দিচ্ছিল না। বেশি বেশি পরিমাণে লিখে যে অধিক রোজগার করবেন, সেটাও শারীরিক কারণে সম্ভব হচ্ছিল না।
১৯৬৪ সালে মুজতবা আলীর বিরুদ্ধে কলকাতার কিছু পত্র-পত্রিকাও ভিন্ন কারণে কুৎসা রটনা শুরু করেছিল। ওই বছর শারদীয় বেতার জগৎ পত্রিকায় বহু আগে দেওয়া তাঁর এক বেতার ভাষণ পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল, সেটি নিয়ে যুগান্তর পত্রিকার ‘বেতার-সমালোচনা’ বিভাগে এক লেখক যারপরনাই মিথ্যাচার করেন। মুজতবা আলীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক আচরণের অভিযোগ আনা হয়। এমনও বলা হয়, তিনি নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুধর্মের ওপর আঘাত হেনেছেন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষের সুযোগ নিয়ে! ওই লেখকের কুৎসা-রটনা ও মিথ্যাচারের বিপক্ষে কলম ধরে মুজতবা আলীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিমল গোস্বামী। তিনি একটি দীর্ঘ পত্র-প্রবন্ধ লিখে মুজতবার বিরুদ্ধে করা অসার অভিযোগগুলোর সব কটিই খণ্ডন করেন।
পরিমল গোস্বামী ঘটনাটির প্রতিবাদ করেছেন জেনে মুজতবা তা পড়তে চেয়েছিলেন। তাঁকে লেখা একটি পত্রে(তারিখ: ২২ নভেম্বর ১৯৬৪) এই পাঠ-আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি নিজের নানান বিড়ম্বনা নিয়েও কিছু কথা বলেছিলেন: ‘আমি অনিদ্রায় কাতর এই গরমি কাল থেকে।…ইতিমধ্যে নিবেদন, আমি শুধু এইটুকুই জানতুম, কে যেন আমাকে যুগান্তরে এক হাত নিয়েছে।…আমি সেটা দেখতে চাইনে। কিন্তু তোমার লেখা আমি সর্বদাই সাগ্রহে সানন্দে পড়ি। বরহক বলছি। অতএব ভদ্র, তোমার উত্তরের কাটিংগুলো পাঠালে অত্যন্ত চরিতার্থ হব। মফস্বলে বিশেষ কাগজের বিশেষ সংখ্যা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবু এই শনিবারের প্রতি শ্যেনদৃষ্টি রাখবো।…তবু ব্রাদার তুমিই পাঠাও।…ইতিমধ্যে ঢাকায় একটি কাগজে এডিটোরিয়ালরূপে সিরিয়াল বেরচ্ছে আমার বিরুদ্ধে–আমি হেঁদু হয়ে গিয়েছি। সে সব আর এখানে তুলছি না।…পুনরায় নিবেদন, এসব লড়াইয়ে তুমি কি জিতবে! আর আমিই বা যাই কোথায়? ওরা বলে আমি কাফের, এরা বলে আমি লেড়ে। ভালোই, রাইকুল শ্যামকুল দুই-ই গেল। নিশ্চিন্ত হওয়া গেল।…’ পরে পরিমল গোস্বামীর লেখা জবাবিপত্রটি তাঁর হাতে পৌঁছেছিল, সেটি পড়ে অত্যন্ত প্রীত হয়ে মাসখানেক পর(৭ ডিসেম্বর ১৯৬৪) তিনি তাঁকে লেখেন: ‘গোঁসাই, তোমাকে মারবে। এদেশে গোডসের অভাব নেই। তবে প্রশ্ন, তোমাকে কি আর ‘মারটার’ হওয়ার ‘লাক্সারি’টা এনজয় করতে দেবে?…খাসা লিখেছ। আর শেষ কথাটাই আসল…’।
বোলপুরের ভাড়া বাড়ির ওপরতলায় পরে মুজতবা নিজের জন্য একটি কক্ষ তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন। সম্ভবত সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থাকার চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু এমন সময় ১৯৬৫ সালে বাঁধল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। চারিদিকে রুদ্ধশ্বাস আবহাওয়া। এতে করে শান্তিনিকেতনে যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ব্যস্ত ছিল, তাঁরা এবার এক বড় রকমের মওকা পেয়ে গেল। ‘মুজতবা আলী আসলে পাকিস্তানের চর’, ‘তাঁর পরিবার থাকে পাকিস্তানে, তাঁর স্ত্রী পাকিস্তান সরকারের চাকুরে, তাহলে তিনি এখানে কেন?’– এমন সব বাজে কথা জনে জনে ছড়ানোর কাজটি এবার তাঁরা করতে লাগলো। তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়েছে, এমন গুজবও একটি পত্রিকায় সংবাদরূপে প্রকাশিত হয়! সে খবর পড়ে দিল্লি থেকে হুমায়ুন কবির ফোন করে সাগরময় ঘোষের কাছে এর সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। পরে আসল খবর জেনে তিনি আশস্ত হন।
পরবর্তীতে তিনি বোলপুর চলে যান
বোলপুরের ভাড়া বাড়ির ওপরতলায় পরে মুজতবা নিজের জন্য একটি কক্ষ তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন। সম্ভবত সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থাকার চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু এমন সময় ১৯৬৫ সালে বাঁধল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। চারিদিকে রুদ্ধশ্বাস আবহাওয়া। এতে করে শান্তিনিকেতনে যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ব্যস্ত ছিল, তাঁরা এবার এক বড় রকমের মওকা পেয়ে গেল। ‘মুজতবা আলী আসলে পাকিস্তানের চর’, ‘তাঁর পরিবার থাকে পাকিস্তানে, তাঁর স্ত্রী পাকিস্তান সরকারের চাকুরে, তাহলে তিনি এখানে কেন?’– এমন সব বাজে কথা জনে জনে ছড়ানোর কাজটি এবার তাঁরা করতে লাগলো। তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়েছে, এমন গুজবও একটি পত্রিকায় সংবাদরূপে প্রকাশিত হয়! সে খবর পড়ে দিল্লি থেকে হুমায়ুন কবির ফোন করে সাগরময় ঘোষের কাছে এর সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। পরে আসল খবর জেনে তিনি আশস্ত হন।
কিন্তু অপপ্রচারকারীরা থেমে থাকেনি। তাঁদের রটানো খবর বিশ্বাস করে স্থানীয় পুলিশ একদিন মুজতবা আলীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু বেআইনি কিছু না পেয়ে পুলিশ বাহিনি অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণই অমানবিক ও আইনের লঙ্ঘন। বিষয়টি স্বয়ং ভারতের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কানেও গিয়েছিল। শুনে তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে মুজতবা আলীকে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় মুজতবা আলী মনে প্রচণ্ড আঘাত পান ও অপমানিত বোধ করতে থাকেন। ফলে অতিরিক্ত মাত্রার ঘুমের ওষুধ ছাড়া তখন তাঁর আর ঘুম আসতো না। এতে করে শরীরও ক্রমে আরো খারাপ হতে থাকে। এ কারণে তাঁকে ১৯৬৫-৬৬ সময়কালে পর পর তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। দীর্ঘকাল চিকিৎসা নেবার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বোলপুরের বাড়িতে তিনটি সিলিং ফ্যান, একটি প্যাডেস্টাল ফ্যান ও সোফাসেট রেখেই তিনি ১৯৬৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা চলে আসে।
ঝুকি থাকলেও পরবর্তী জীবন তিনি ভারতেই কাটান ৭১ পর্যন্ত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার বাংলাদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালে । বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যান, দুঃখজনক দেশে ফিরত আসার ২ বছরের মাঝেই ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুজতবা আলীর মতো প্রগতিশীল লেখকদের জন্য সাংস্কৃতিক মুক্তি ছিলো এক প্রকার।
১৯৭৪ সালে মারা যান তিনি।
দেশভাগ জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলা সেই সময়ের মুসলিম সাহিত্যিকের আরেকজন হচ্ছেন ভারত - পাকিস্তানের সাদাত হোসাইন মান্টো। তার ব্যাপারেও পড়তে পারেন চাইলে। কমেন্টে তার ব্যাপারে ছোট করে লিখা হলো।
ছবিতে : তরুন বয়সে মুজতবা আলী ( দেশভাগের আগে)
No comments:
Write Comments