Sunday, July 5, 2020

Ayman Sadiq and Queen’s Young Leaders Award

#আয়মানসাদিক  যে পুরুস্কারে ভিডিও দেখিয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়েছে সেইটা কেন দেওয়া হয়েছে জেনে নিন।  #AymanSadiq

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক, ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ এন্ড কালচার।


টি ছদ্মবেশে ইসলাম, মনুষ্যত্ব ও সংবিধান বিরোধী একটি যৌন নৈরাজ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ- তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে।



 যে ছবিটা দেখছেন, তিনি ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাত থেকে ‘কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক। (https://bit.ly/2BCWqbK)


 আয়মান সাদিককে চিনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। 
১০মিনিটস্কুল বা রবি১০মিনিটস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। (https://bit.ly/3dy7UdF)


 আয়মান সাদিককে তো চিনলেন কিন্তু 'কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড' সম্পর্কে কিছু জানেন কি? বোধহয় জানেন না। আসুন জেনে নেই।




 ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সারা বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করেন যে সংস্থার মাধ্যমে সেটাই হলো কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড সংস্থা। এই সংস্থার মূল কাজ হলো সারা বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের দিয়ে ডেমোক্রেটিক ব্লকের মূল ম্যাসেজ ছড়িয়ে দেয়া। ডেমোক্রেটিক ব্লক হলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা অংশ। ধরে নেওয়া হয় সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো দুটো রাজনীতিক দলে বিভক্ত হয়ে তাদের শক্তির চালনা করে। একটি হলো ডেমোক্রেটিক ব্লক, আরেকটি হলো রিপাবলিকান ব্লক। (https://bit.ly/2NrOBbg)

 ডেমোক্রেটিক ব্লকের মূল ম্যাসেজকে ইংরেজিতে সংক্ষেপে বলা হয় LGBT, এর পূর্ণরূপ হলো Lesbian, Gay, Bisexual, Transgender অর্থাৎ নারী সমকামি, পুরুষ সমকামি, উভকামি এবং হিজড়াদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে ডেমোক্রেটিক ব্লকের সদস্যরা। ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এদের মূল ঘাটি। শক্তিধর এই দেশগুলো থেকে তারা তাদের কার্যক্রম সারা বিশ্বে পরিচালনা করে। যুক্তরাজ্য তথা ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ হলো ডেমোক্রেটিক ব্লকের অন্যতম সদস্য।




 এতক্ষণে বোধহয় বুঝেছেন যে ডেমোক্রেটিক ব্লক কারা আর কি তাদের উদ্দেশ্য। যদি এখনো বিষয়টা পরিষ্কার না হয় তাহলে আবারো সরাসরি বলছি, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ডেমোক্রেটিক ব্লকের সদস্য। বারাক ওবামা ক্ষমতায় এসেই সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে সমকামিতার বৈধতা দিয়েছিল এবং সমকামিতার বৈধতাকে আমেরিকার বিজয়ও বলেছিল। এটা কেন করেছিল বুঝতে পারছেন না? (https://bit.ly/2NqAwuZ)


 আবার ফিরে আসি আয়মান সাদিকের কাছে। আয়মান সাদিক ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের থেকে যে কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছিল এটাই মূলত সমকামি সংস্থা। এই সংস্থা থেকে পুরস্কার নিতে গেলে প্রথম শর্ত হলো নিজেকে সমকামি হতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হলো, তাদের সংস্থার হয়ে Lesbian, Gay, Bisexual, Transgender অর্থাৎ নারী সমকামি, পুরুষ সমকামি, উভকামি এবং হিজড়াদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যেতে হবে। তার প্রমাণ হলো, কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড সংস্থা তাদের যাত্রা ২০১৪ সালে শুরু করলেও ২০১৫ সালেই প্রকাশ্যে নিউজিল্যান্ডীয় নারী টেব্বি বেসলেকে সমকামিতার পক্ষে উকালতি করার জন্য এবং সমকামিতার প্রতীক রংধনুর সাত রঙের হেয়ার স্টাইলের জন্য কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। (https://bit.ly/2YxhLfNhttps://bit.ly/2YxYpXR)
 তাছাড়া বিভিন্ন বক্তৃতা, ভিডিও ও ছবি সাক্ষী আয়মান সাদিক ও তার গ্রুপের সাকিব বিন রাশিদ উভয়েই সমকামিতার অংশীদার এবং কৌশলে সমকামিতাকে প্রমোট করে যাচ্ছে। তাই আপাতত আমার, আপনার একটাই কাজ। তীব্র প্রতিবাদ করা এবং আয়মান সাদিক ও টেন মিনিট স্কুল বর্জন করা।

 এটাও জেনে রাখুন, সমকামিতাকে ইসলামে জেনা/পরকীয়া/ধর্ষণের মতই গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা যে মানুষকে ক্বওমে লূত আলাইহিস সালাম সম্প্রদায়ের মত সমকামিতায় নিয়োজিত পাবে সেই কুকর্মকারীকে এবং যার সাথে কুকর্ম করা হয়েছে তাকে মেরে ফেলবে।

(ইবনু মাজাহ ৩৫৬১, জামে আত তিরমিজি ১৪৫৬)



 তাই মুসলিম বিশ্বের ১৪টি দেশ সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড জারি করেছে। এগুলো হল আফগানিস্তান, ব্রুনাই, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ। (https://bit.ly/3i1wqaF)

 এমনকি খোদ বাংলাদেশেও সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়৷ তবে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না৷ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, সমকামিতার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড, যা ১০ বছরও হতে পারে৷ এই আইনে একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেরও বিধান আছে৷ তাছাড়াও জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড বিলোপের যে প্রস্তাব তুলেছিল, তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ৷ (https://bit.ly/3i44tyK)


 সুতরাং সবাই প্রতিবাদের ঝড় তুলুন। আয়মান সাদিক ও ১০ মিনিট স্কুলের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।




বিঃদ্রঃ মুসলমানের সন্তান তাদের কাছে শিক্ষা না নিলে তেমন কিছুই হবে না , নিজেদের অসচেতনতায় তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিকৃত মস্তিষ্ক ও পশুর চরিত্র যদি অর্জন করে, তাহলে একূল ওকূল মানে দদীন-ঈমান-চরিত্র আর পড়াশোনা দুকূলই যাবে।

সংগ্রহ ও গবেষণাঃ কওমী সাইবার টিম।

#BuckinghamPalace #London  #QueensYoungLeadersAward

No comments:
Write Comments

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();