বোধোদয়য় না নয়া ফন্দি ফিকির?
***************************
জার্মান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নামিবিয়ায় ঔপনিবেশিক শাসনের সময় চালানো গণহত্যার দায় স্বীকার করে উত্তসুরিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ঐ অপরাধের সময়কার ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজী হয়েছে। জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা নামের দেশটিতে ১৯০৪ সালে গড়ে উঠা বিদ্রোহ দমনে জার্মানি যে তান্ডব চালায় তাকে বিংশ শতাব্দীর ‘বিস্মৃত গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেন ঐতিহাসিকরা। কত মানুষের প্রাণ গিয়েছিল তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবে তা হাজার হাজার। সে সময় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল নামা এবং হেরেরো নামের দুই আদিবাসী জনগোষ্ঠী। “জার্মানি তাদের ঐতিহাসিক এবং নৈতিক দায় স্বীকার করছে এবং নামিবিয়ার জনগণ এবং অপরাধের শিকার মানুষদের উত্তরসূরিদের কাছে ক্ষমা চাইছে”- জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। ১৩৪ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজী হয়েছে জার্মানি। এই টাকা নামিবিয়ার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে খরচ করা হবে। অবশ্য আগামি ৩০ বছর ধরে এই টাকা দেয়া হবে। হেরেরো আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রধান ভেকুই রুকোরো এর বিরোধীতা করে বলেন-“নামিবিয়ার সরকার আরেকবার দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে”।
ফ্রান্স অকস্মাৎ সাবেক উপনিবেশ রোয়ান্ডায় ১৯৯৪ সালে ভয়াবহ গণহত্যার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে। রাজধানী কিগালিতে গণহত্যার স্মরণে নির্মিত যে সমাধিস্থলে গণহত্যার নিহত ২৫০,০০০ টুটসিকে কবর দেয়া হয়েছিল, সেখানে গিয়ে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুল ম্যাক্রঁ বলেন - “আমাদের দায় স্বীকার করতে আমি এখানে হাজির হয়েছি... আমাদের ক্ষমা করে দিন”। ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডার যে গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল- যাদের সিংহভাগই টুটসি জাতিগোষ্ঠীর। সে সময়কার সরকার সমর্থিত যে হুতু মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে গণহত্যা চালানোর জন্য দায়ী করা হয় তাদেরকে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছিল ফ্রান্স। প্রায় ১০০ দিন ধরে চলা ঐ হত্যাকাণ্ডে বাড়ী বাড়ী ঢুকে, উপসনালয়ে ঢুকে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। স্কুলে ঢুকে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ‘সেফ জোন‘ তৈরি করতে ফ্রান্স সৈন্য মোতায়েন করেছিল এবং ঐ সেফ জোন দিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া হুতু মিলিশিয়ারা প্রতিবেশী জায়ারে পালিয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৪ সালের লড়াই জিতে Rwandan Patriotic Front এর নেতা Paul Kagame ক্ষমতা নেওয়ার পর ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সমস্ত ফরাসি প্রতিষ্ঠান - স্কুল, সাংস্কৃতিক সংগঠন - বন্ধ করে ফরাসির বদলে ইংরেজিতে পাঠদান শুরু হয়। এরপর ব্রিটিশ উপনিবেশ না হয়েও রোয়ান্ডা কমনওয়েলথের সদস্য হয়।
অবশ্য বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপল্ড ১৮৬৫ সালে মধ্য আফ্রিকায় বিশাল একটি এলাকা দখল করে ঔপনিবেশিক শাসন চালু করে যে এক কোটি মানুষকে হত্যা করেছিল – তার জন্য এখন পর্যন্ত তার দায় স্বীকার বা ক্ষমা চায়নি। গত বছর বেলজিয়ামের রাজা “গভীর অনুশোচনা” জানালেও সরকার কখনো তাদের বিতর্কিত অতীত নিয়ে কথা বলেনি। রাজা লিওপল্ড “সভ্যতার আলো” হাতে করে গিয়ে ২০ লাখ বর্গ কিলোমিটার জায়গায় ব্যাক্তিগত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে নাম দেয় কঙ্গো ফ্রী ষ্টেট। লিওপল্ড জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহার করে রাবার চাষ, হাতির দাঁত এবং নানা খনিজ দ্রব্যের ব্যবসা করতে গিয়ে অবাধ্যতার শাস্তি মৃত্যু কিংবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার বিধান চালু করে। মানুষকে দাস এবং শিশুদের ধরে শিশু কলোনিতে আবদ্ধ করে সেনা প্রশিক্ষন দেওয়া হত যেখানে প্রায় ৫০% শিশু মারা যেত। নির্যাতন, রোগ শোকে এক কোটি লোকের মৃত্যু হয় তখন। জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ কঙ্গোতে হত্যা-নির্যাতনের জন্য বেলজিয়াম রাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু ব্রাসেলস এখনও চুপ।
-শোনেন গুরু, অনেক প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলেও ফলাফল শুন্য হয়ে যায়। যেমন শিক্ষক ক্লাসে জিজ্ঞেস করলেন
-বলতো, নেপোলিয়ান কোন যুদ্ধে মারা যান?
-জীবনের শেষ যুদ্ধে, স্যার।
-ভারতের স্বাধীনতা চুক্তি কোথায় সই হয়েছিল?
-চুক্তি পত্রের একেবারে নিচে।
-বিবাহ্-বিচ্ছেদ কি কারনে ঘটতে পারে?
-শুধু বিবাহ্ করার কারনে।
-একজন মানুষ কিভাবে ৭দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে?
-একদম সোজা স্যার, ৭ রাত ঘুমিয়ে।
ইসরাইল কি যুদ্ধে হেরে গেল?
*****************************
ইহুদী, খ্রিস্টান এবং মুসলিম জাতীর পিতা ইব্রাহিম (আঃ) থেকে আমাদের কাছে ধর্ম পৌঁচেছে। সবই আব্রাহামিক রিলিজিয়ন নামে পরিচিত। ইহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে মৌল নীতিতে অনেকাংশে মিল পাওয়া যায়। ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা পাশাপাশি দুটি ধর্মের কালচার, ফিলোসফি কিংবা তাত্ত্বিক অমিল বেশি চোখে পড়ে না। প্রথম ইসলামিক ওয়াক্ফ বা চ্যারিটেবল কাজ শুরু হয় রাব্বি মুখাইরিকের দানে। রাব্বি মুখাইরিক মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে ওহুদের যুদ্ধে যোগদান করেন। সে সময় মদিনায় অনেক ইহুদি বাস করতেন এবং মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বহিঃশ্ত্রুর সাথে যুদ্ধ করেছেন। ১০২৭ সালে ইহুদি স্যামুয়েল ইবনে নাঘরিল্লাহ মুসলিম আমিরাত আল আন্দালুস এর মিলিটারি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন। মুসলমানদের সাথে তাদের কোন সংঘাত হয়নি। ইহুদিদের নবী মোসেস’কে মুসলমানেরা নবী হিসাবে ভক্তি করে। পবিত্র কোরআনে প্রায় ৪৩ জায়গায় মুসা এবং বনি ইসরাইলের কথা উল্লাখ আছে।
পরবর্তিতে ইহুদিদের কেউ স্বেচ্ছায় ইসলামে কনভার্ট হলে তাকে প্রতারণা এবং ধর্ম বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করে মৌলবাদীরা। একজন ইহুদি মনে করে অন্য ধর্মে কনভার্ট হওয়ার চেয়ে নিজে জীবন শেষ করে দেওয়া উত্তম। আর মুসলমানেরা ইহুদি সহ অন্য ধর্মের লোককে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়াকে পুন্যের কাজ মনে করে। অনেক বিখ্যাত ইহুদি ইসলাম গ্রহন করে মুসলমানদের শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন, যেমন হাঙ্গেরীর সাংবাদিক Leopold Weiss মোহাম্মদ আসাদ নামে ইংরেজিতে কোরানের অনুবাদ করেন The Message of the Qua’ran । ইজিপ্টের কম্যুনিস্ট নেতা Marc Schleifer, আরব বিশ্বের বিখ্যাত গায়িকা এবং অভিনেত্রী Layla Morad, পাকিস্তানের লেখিকা Margret Marcus যিনি ইসলামের কালচার এবং ইতিহাসের উপর ৩০ খানার বেশি বই লিখেন মারিয়ম জামিলা নামে। অনেকে ধর্মান্তরিত হবার পরও তাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি এবং ইহুদিদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রাখার চেস্টা করেছেন।
১৪৯২ সালে Askia Muhammed পশ্চিম আফ্রিকার টিমবুকটু সম্রাজের ক্ষমতা দখল করে সেখানে বসবাসরত ইহুদিদের উপর ডিক্রি জারি করে – হয় মুসলমান হয়ে যাও নইলে এই রাজ্য ত্যাগ কর। তখন অনেকে বাধ্য হয় ইসলামে ধর্মান্তারিত হতে। প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিরোধ তৈরী হয়। ১৬ এবং ১৭ শতকে ইরানের Safavid dynastyর সময় ইহুদিদের প্রকাশ্যে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষনা দিতে হত। পরে ফরমান জারি করে ‘বল প্রয়োগ ধর্মান্তরিত’ বন্ধ করলে তারা আবার আগের ধর্মে ফিরে যায়। ১৭ শতকে ইয়েমেনের বাদশা ইহুদিরা ধর্মান্তারিত না হলে সমস্ত শহর থেকে তাদের বের করে দেবার আদেশ দেয় যা ইতিহাসে Mawza Exile নামে পরিচিত। ১৮৩৯ সালে ইহুদিরা রাশিয়া এবং ইরান, তুরস্ক, উজবেকিস্থানে অত্যাচারিত হয়ে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য হলেও তারা গোপনে ইহুদিবাদ চর্চা করতে থাকে সেই সাথে তাদের ক্রোধ পুঞ্জিভূত হতে থাকে। বর্তমানে ইরানে ইহুদিদের জোরাস্টারিয়ান্দের মত religious minority group হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং পার্লামেন্টে একটি সীট রাখা হয়েছে। তবে তাদের দেশের বাইরে ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আছে, কোন পরিবারের সকল সদস্য মিলে একসাথে বিদেশ ভ্রমন করতে পারবে না।
দেখা যাচ্ছে কোরআনে বর্নিত ‘আব্রাহামিক রিলিজিয়ন’ এর আদর্শ থেকে মুসলমানরা সরে এসে হাদিস, ফেকাহ্ অনুসরন করতে গিয়ে ইহুদিদের শ্ত্রু বানিয়ে ফেলেছে। সাথে বৃটিশদের ‘কুট কৌশল’ ১৯৪৮ এ ইসরাইল রাস্ট্র ঘোষনা মিডল ইস্টে স্থায়ী যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছে। মুসলমানদের দিনে ৫ বার সালাত আদায়ের মত ইহুদি’রা দিনে দুই থেকে পাঁচবার প্রার্থনা করে। একই রকম রোজা, দুর্বলকে অর্থদান, হালাল খাবারের নিয়মে মুসলমানদের সাথে মিল আছে। শুকুরের মাংস উভয় সম্প্রদায়ের জন্য হারাম। সমকামীতা, বিবাহ্ বহির্ভুত সেক্স, স্ত্রীর সাথে মাসিক কালিন সেক্স করা উভয়ের জন্য হারাম। তা ছাড়া উভয় সম্প্রদায়ের পুরুষেরা খৎনা করে থাকে।
নবীজীর সময় চুক্তি ভঙ্গের দায়ে বনু কোরাইজা গোত্রের কিছু ইহুদিকে হত্যা করা হয়। কট্টরপন্থী কিছু মুসলমান সেই উদাহরণ টেনে এনে ইহুদি হত্যার মাধ্যমে বর্তমানের সহিংসতাকে জিইয়ায়ে রাখতে চায়। মনে রাখা উচিৎ সে সময় ইসলামিক আইন তৈরী হয় নি, ইহুদিদের প্রচলিত আইনেই নবীজী তাদের বিচার করেছিলেন। খায়বরের যুদ্ধে সাফিয়ার স্বামী এবং বাবা মারা গেলে অসহায় নারীকে নবীজী নিজে বিয়ে করেছেন। সেই সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে গেছে উভয় সম্প্রদায়ের কিছু লোকের ভুলের কারনে।
প্রথম শতাব্দীতে রোম সম্রাট জেরুজালেম এবং সেখানকার সমস্ত টেম্পল ধ্বংস করে খ্রীস্টান ধর্মের বীজ বপন করে। ইহুদীদের এক ইশ্বরের বিশ্বাসের পরিবর্তে খৃস্ট ধর্মের Triune God বা ত্রিতত্ববাদ দুই ধর্মের মধ্যে সংঘাত ডেকে আনে। God in human form ইহুদিরা মেনে নিতে পারেনি। তাই তাদের উপর নানান অত্যাচার নেমে আসে। মধ্য যুগে ক্যাথলিক চার্চ ডিক্রি জারী করে ইহুদিদের হত্যা, জোর করে খৃষ্টান ধর্ম পালনে বাধ্য করা, তাদের ধন সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া বন্দ করে। ১৫ শতকে খ্রিস্টীয় চার্চ পুনরায় তাদের উপর নতুন করে কিছু বাঁধা নিষেধ আরোপ করে। যেমন ইহুদি – খৃস্টানদের মধ্যে বিবাহ্ নিষিদ্ধ করা হয়, একসাথে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ, ইহুদিরা কোন পাবলিক অফিসে আসতে পারবে না ইত্যাদি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর হলোকাস্ট, ইহুদী-খৃস্টানের মধ্যে সম্পর্কের নতুন সমীকরণ হয়ে যায়। ২০১৫ সালে ভ্যাটিকান এক সার্কুলার জারী করে – “ইহুদিদের পরিত্রান পাওয়ার জন্য ধর্মান্তারিত হবার দরকার নাই, ইহুদী বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ইহুদি খৃস্টান একসাথে জোট বেঁধে লড়াই করতে হবে”। এখানে পরিস্কার করে বোঝা যায় ইহুদী বিরোধী বলতে মুসলমানদের কথা বলা হয়েছে।
চলমান সংঘাত চলা কালীন উভয় পক্ষের প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির পর জর্ডানের বাদশাহ্ এবং কাতারের আমির হামাসের সাথে আলোচনা করে যুদ্ধ বিরতি করতে রাজি করেন। জর্ডানের সমস্ত উপজাতি নেতারা এবার পবিত্র কোরান ছুঁইয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে তারা বর্ডার ক্রস করে দখলকৃত প্যালেস্টাইনে প্রবেশ করবে। ১০ থেকে ১৫ লক্ষ যুবক হালকা এবং মাঝারি রকম অস্ত্র নিয়ে নিজেদের জীবন কোরবানি করতে প্রস্তুত ছিল। সেই সাথে ইরাকের মোজাহীদরা আশ্বস্ত করেছিল এই বলে যে প্রায় ২০ লক্ষ যুবক জেরুজালেম মুক্ত করতে তাদের সাথে যুক্ত হতে প্রস্তুত আছে। উপজাতী নেতারা জর্ডানের বাদশাহকে কমান্ডার হিসাবে যুদ্ধ পরিচালনার ভার দিতে চেয়েছিল। এই খবর জর্ডানের ইন্টেলিজেন্টের মাধ্যমে মোসাদের কাছে পোঁছে যায়। ওদিকে ইজিপ্টের রাস্তায় মানুষ নেমে আসে প্যলেস্টানিদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে। ইসরাইল আর্মি পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে যে জেনারেল এতক্ষন সীজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ছিল, সে ভড়্কে গিয়ে নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে। একই সাথে আমেরিকা নেতানিয়াহুকে জানাই যে পাকিস্তানি এয়ার ফোর্স ইউ এস মিলিটারিকে জানিয়ে দিয়েছে যে যত মুল্যই দিতে হোক না কেন- পাকিস্তান এবার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, তাদের জেট ইসরাইলে বম্বিং করবে এবং মিসাইল ছূঁড়বে। ওদিকে টার্কি’র আর্মি কমান্ডার অ্যামেরিকাকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয় যে ইসরাইল আক্রমণের জন্য তাদের এক হাজার Bayraktar Drones রেডি করে রাখা হয়েছে, যে কোন সময় এট্যাক করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিস্থিতি অনুধাবন করে প্রধান মন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোনে জানাই যে তার ‘অদুরদর্শিতা’ বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে যেখানে ইসরাইলি মিত্রদের যুদ্ধ জেতা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।
আপাতঃ যুদ্ধ বন্ধ হলেও স্থায়ী সমাধান কি??? সামাধান হতে পারে ইন্টার ফেইথ ডায়লগ। – “সব ধর্মই সঠিক, সব ধর্মই শান্তির কথা বলে”। দু একবার খ্রিষ্টানদের সাথে ইন্টার ফেইথ ডায়লগ হলেও ইহুদি-মুসলিম ডায়লগ কখনো হয়নি কিন্তু এটাই সমাধানের একমাত্র পথ বলে আমি মনে করি। (৩০-০৫-২০২১)