Sunday, May 23, 2021

কেন ইসরাইল এত শক্তিশালী?

কেন ইসরাইল এত শক্তিশালী?




♦️
প্রতি ৫ জোনে ৩ জন উদ্যোক্তা
♦️
নতুন স্টার্ট উপ বিনিয়োগে এ সমস্যা হলে ইসরাইল সরকার নিজেই বিনিয়োগ করে
♦️
প্রতি তিন জনে একজন কোন না কোন স্টার্ট আপ এর মালিক, জনপ্রিয় স্টার্ট আপ এন্ড ফ্রি লান্সের সাইট FIVERR( বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হাজার হাজার ফ্রি ল্যান্সর কাজ করে সেখানে) হলো ইসরাইলের.
♦️
কম্পিউটার আন্টি Virus ইসরাইলের তৈরী
♦️
কম্পিউটার এর USB পোর্ট ও পেনড্রাইভ এর আবিস্কার ও ইসরাইলের
♦️
তাদের রয়েছে ইনোভেশন অথরিটি ও ইনোভেশন এর জন্য আলাদা বাজেট রয়েছে
♦️
IBM এর সবচে বড়ো হার্ডওয়্যার প্রস্তুত কারক দেশ হলো ইসরাইল

♦️
University গুলোতে সবচেয়ে ভালো মানের ল্যাব এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে,যাতে তারা খুব ভালো মানের পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে


♦️
পৃথিবীর মোট নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে একক ভাবে পুরো পৃথিবীর সকল দেশ মহাদেশ মিলে যা পেয়েছেন তার চেয়েও বেশী ইহুদিরা। তাদের সবাই অবশ্য ইসরাইলে থাকে না। তবে ইহুদি।
পৃথিবীতে ইহুদীদের সংখ্যা মাত্র ০.২%। এত নগন্য সংখ্যক লোক নিয়ে পৃথিবীকে পরোক্ষ ভাবে শাসন করে ইহুদীরা।
♦️
.ইসরাইলে প্রতি ১০০০০ জন লোকের মধ্যে ১২০ জন বিজ্ঞানী। যা বাকি পৃথিবীর মোট বিজ্ঞানীদের চেয়ে বেশী হতে পারে। ভাবা যায় ব্যাপারটা।
♦️
ফেজবুক, গুগল,ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ বৃহৎ সকল সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ইহুদিদের। যাদের সবার একটা করে ভ্যাট বা ট্যাক্স ফ্রি অফিস ইসরাইলে।
♦️
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশীর ভাগ উচ্চ পদস্থ জ্ঞানী বা পদধারী ব্যক্তি ইহুদি। তাই মার্কিন সরকার অসহায়।
♦️
বিশ্বের সকল বৃহৎ রাস্ট্রের সেল্টার নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রডাক্ট, পানীয় মার্কিটিং করে পুরো বিশ্বকে নিজের হাতের তালুতে ধরে রেখেছে।
যেমন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে ইসরায়েলের কোন সম্পর্ক নাই তাতে কি? এই এলাকায় বাজার জাত, উৎপাদন করবে ভারত। সহজেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যে টুথপেষ্ট ব্যবহার করে দাঁত পরিস্কার করলেন, যে সাবান দিয়ে গোসল করলেন বা আপনার বাচ্চাকে যে লোসন দিলেন বা আপনার বউ বা মেয়ে যে স্যাম্পু ব্যবহার করলো সব ইহুদিদের পন্য।
যত মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, ঔষধ তার ৬০-৭০% এর আবিস্কারক এই ইহুদী রা।
✅
ফেজবুক ।
✅
Google ।
✅
সকল মেইলের সাইট ।
✅
পানীয় সব কম্পানি
✅
কসমেটিকস সহ ভ্যারাইটিস পন্য ।
✅
সাবমেরিন কানেকটিভিটি ।
✅
ইন্টারনেট ।
সব তাদের নিয়ন্ত্রণে
🎀
সুতরাং কোন দেশ তাদের সমর্থন বা স্বীকৃতি দিলো কি না দিলো বা কুটনৈতিক সম্পর্ক রাখলো কি না রাখলো তাদের কিছু যায় আসে না।
পুরো বিশ্বের সব দেশ থেকে প্রতি সেকেন্ডে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে এবং করবে শুধু মেধার দ্বারা।
♥️
যে দেশে গর্ভবতী মহিলাদের গণিত শেখা বাধ্যতামুলক সে দেশকে আপনি কি মনে করেন?
মায়ের পেট থেকে গণিত শিখে বের হয়ে ২০ বছর বয়সে ফেজবুক আবিষ্কার করে ওরা। আর আমরা ভুতের গল্প শিখি। পুতুল নিয়ে জামাই বউ খেলি!!
👉
আয়তনে আমাদের ঢাকা বিভাগের মতো জায়গা ওদের। বাংলাদেশের ৬ ভাগের এক ভাগ! কিন্তু ইসরাইলই পুরো বিশ্বের খাজনা নেওয়া একমাত্র জমিদার!!
🎀
তাই মেধা মেধা মেধা!!
বিজ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নাই!
Read More

Saturday, April 3, 2021

এস কে সুর

সেই এস কে সুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!

কোন্ এস কে সুর?

মনে কি পড়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১ বিলিয়ন ডলার লুটপাটের কথা? ইনি হলেন সেই সময়কার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্ণর সিতাংশ কুমার সুর চৌধুরী! বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, এই সুর ছিল তার অন্যতম প্রধান কর্তা। মূলত তার ব্যবস্খাপনায় রিজার্ভ লুটের কাজটি সম্পন্ন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হিন্দু চক্র। শুরু থেকে শেষ অবধি ৭/৮ জন হিন্দু সিনিয়র অফিসাররা চুরির কাজটি এমনভাবে করেছে যে, এক জন আরেকজনকে প্রটেক্ট করেছিল। এরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স ডিলিং রুম থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট অর্ডার ইস্যু করে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে পাঠায়, নির্দেশ পেয়ে সেখান থেকে টাকা চলে যায় ফিলিপাইনের ব্যাংক ঘুরে ক্যাসিনো মার্কেটে। তারপরে নিখোঁজ হয়ে যায় বাংলাদেশের জনগনের রিজার্ভ!

এই হিন্দু চোর চক্রটি (সাথে কিছু মুসলমান কর্মকর্তাও ছিল) কেবল পেমেন্ট অর্ডার ইস্যুই করেনি, গভর্নর আতিউর রহমান খবর জানার পরে তাকে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এরা বুদ্ধি দেয়। এদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এস কে সুর এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের জিএম দেবপ্রসাদ দেবনাথ। আর পুরো ঘটনার মূলে ছিল রাষ্ট্রক্ষমতার মূল ব্যক্তির পুত্র, যার কারণে ৪ বছর পার হয়ে গেলেও কোনো তদন্ত বিচার কিছু হয়নি।

আসুন চক্রটিকে চেনা যাক:

১) সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, ডেপুটি গভর্নর, ফরেক্স রিজার্ভ বিভাগ~ এই ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষন ও লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ। তার অধীনেই থাকত ফরেক্স ডিলিং রুম। এস কে সুরের এবং অধীনস্থ অফিসারদের হাতের ছাপ ও বায়োমেট্রিক্স জমা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে, যাদের হাতের ছাপ দিয়েই পাঠানো হয়েছিল ১ বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট অর্ডার। ফলে সহেজই অনুমেয় এই সুরের জ্ঞাতসারে বা ব্যবস্থাপনায় রিজার্ভ চুরির সকল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তৎকালনীর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল পরিস্কার করেই বলেছিলেন, এরা হাতের ছাপ না দিলে শত হ্যাক করেও টাকা চুরি সম্ভব নয়।

২) রাকেশ আস্থানা~ রিজার্ভ চুরির সময় ভারতীয় এই নাগরিক বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি এডভাইজার হিসাবে কাজ করতো, যদিও তিনি কোনো আইটি এক্সপার্ট ছিলেন না। তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষশেষ সুপারিশে। জয় এবং রাকেশ আমেরিকাতে একই পাড়ায় বাস করতো তখন। রিজার্ভ চুরির খবর ফিলিপাইন থেকে প্রকাশ হবার পরে গভর্নর আতিউর রহমান তড়িঘড়ি করে রাকেশকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি কনসালটেন্ট পদে নিয়োগ দেয়। এরপর রাকেশ বলা শুরু করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট নেট হ্যাক হয়েছে। অথচ সুইফট সিইও বলছে, তাদের নেট হ্যাক হয়নি, বরং সুইফট নেটকে অসৎউদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকেরাই ৩০০০ কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে দেয়! রাকেশ আরও বলছে ফরেক্স ডিলিং রুমের কম্পিউটারে ম্যালওয়ার ও ভাইরাসে ভর্তি, কোনো ফায়ারওয়াল ছিল না। এটা সম্পূর্ণ অবাস্তব বয়ান। কেননা এই সকল মানি ডিলিং কম্পিউটার সর্বদা সিকিউর্ড থাকে। এসব বিষয়াদি দেখার জন্যই রাকেশকে আইটি এডভাইজারের কাজটি দেয়া হয়েছিল। এরপর কনসালটেন্ট নিয়োগ পাওয়ার পরে তড়িঘড়ি করে রাকেশ নির্দেশ দেয় ব্যাংকের সকল কর্মকর্তার কাছে থাকা কম্পিউটার ও ল্যাপটপে তার দেওয়া প্যাচ ইনস্টল করতে। এই চিঠি ইস্যু করে আরেক হিন্দু প্রিন্সিপাল মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার পংকজ কুমার মল্লিক। তখন ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাই আশংকা প্রকাশ করে যে, এই প্যাচ বসিয়ে রাকেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের সব গোপন তথ্য তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে। এমনকি এখন বিভিন্ন মেশিনে যে সব ম্যালাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে, তা সবই কৌশলে স্খাপন করেছেন রাকেশ। ভারতীয় এই রাকেশ এডভাইজার থাকতে এবং এত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার থাকতে ফরেক্স রুমের মেশিনে ম্যালাওয়ার ঢোকার গল্প ছিল স্রেফ অবাস্তব।

৩) দেবপ্রসাদ দেবনাথ, চুক্তিভিত্তিক জিএম, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট: এই ব্যক্তি অবসরে যাওয়ার পরে তাকে চুক্তিতে স্বপদে নিয়োজিত রাখে গভর্নর আতিউর এবং সরকার। পদত্যাগপত্রে গভর্ণর আতিউর রহমান উল্লেখ করে, চুরির খবর ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে জানায়। অথচ এই ডিপার্টমেন্টের কাজ হলো চুরি বা অনিয়ম ধরা এবং টাকা উদ্ধার করা। অথচ জিএম দেবপ্রসাদ গভর্নর আতিউরকে পরামর্শ দেয়, চুরি ঘটনা গোপন রাখাতে। কিন্তু দেবপ্রসাদ কোনো কিছুই করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ চুরির বিষয়টি গোপন না রেখে সরকারকে সাথে সাথে জানালে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট দ্রুত চাপ দিয়ে পুরো টাকাই ফেরত আনা সম্ভব ছিল। কেননা চুরি হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজার্ভ ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখায় ঘুরাঘুরি করছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সাথে সাথে ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা পেমেন্ট হতো না, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা যেতো। দেবপ্রসাদের ইচ্ছাকৃত ঢিলেমীতে পরবর্তীতে ঐ অর্থের বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। আবার ক্যাসিনোতেও সেই অর্থ ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ আরো ২০ দিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে অবহিত করলে শতভাগ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হতো। উল্টো দেবপ্রসাদদের কর্মকান্ড চুরির টাকা তুলে নিতে সাহায্য করে।

৪) দেব দুলাল রায়, সিস্টেমস ম্যানেজার, আইসিটি ও টেকনিক্যাল সার্ভিস, বাংলাদেশ ব্যাংক: আইসিটি বিভাগের প্রধান এই লোক ভারতীয় এডভাইজার রাকেশের পরামর্শ অনুযায়ী রিজার্ভ চুরি করতে সকল টেকনিক্যাল সার্ভিস দেয়। সে-ই জানে কোন্ কোন্ কম্পিউটার ব্যবহার করে চুরির কাজটি সম্পন্ন যাবে, আর কিভাবে মেশিনের সেই লগ মুছে দেয়া যাবে। তাই করেছিল।

৫) দেবাশীষ চক্রবর্তী, জিএম, ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিটি ডিপার্টমেন্ট: এই ব্যক্তির দায়িত্ব ছিল ফরেন একচেঞ্জ মনিটর করা। রিজার্ভ চুরি করতে তার সাহায্য অবশ্যই লাগবে।

৬) শুভঙ্কর সাহা, নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ~ রিজার্ভ চুরির ৩ মাস আগে শুভঙ্কর সাহাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নিয়োগ করা হয়। এর দু’ মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টার থেকে ৫ লাখ টাকার ক্যাশ চুরি করে হাতে নাতে ধরা পড়ে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা। তখন চোর দীপককে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেয়া এই শুভঙ্কর সাহা। জানানো হয়নি গভর্নর আতিউরকে। ২ দিন পরে পত্রিকা পড়ে জানতে পারেন গভর্ণর আতিউর! এই শুভঙ্কর চুরির সময় ও আগে পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সকল প্রেস ব্রিফিং করে থাকত। অনেকেই বলেন, রিজার্ভ চুরির খবরাদি গোপন করতে এই লোক মিডিয়া ও জনগনকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ দিয়েছে!
এই সব চোরগুলাকে নিয়োগ, পদোন্নতি, এমনকি অবসরের পরেও গুরুত্বপূর্ন পদে নিয়োগ দিয়েছিল গভর্নর আতিউর রহমান। দীর্ঘদিনে রিজার্ভ লুটের পরিকল্পনার পুরো বিষয়টি স্থানীয়দের সাথে আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারদের সাথে সমন্বয় করে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রধান ব্যক্তির পুত্র, তার সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও একাধিক মিটিং করে। বেছে নেয়া হয় জুয়ার স্বর্গরাজ্য ফিলিপাইনকে। আতিউর মূলত ভারতীয় লবির লোক, আর তাই সে দিল্লির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রায় অর্ধশতাধিক হিন্দু অফিসারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ রিজার্ভ, ট্রেজারী, আইসিটি, এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট ডিপাটমেন্টে নিয়োগ ও পদায়ন করেছিল। এসব বিষয় তদারকি করার কাজটি করেনি কেউ। কার সবকিছুই হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক। তাই গরীব দেশের রিজার্ভ লুট হয়েছে, কিন্তু টাকা উদ্ধার হয়নি, মামলার তদন্তও হয়নি, বিচার তো দূরের কথা।

সেই এস কে সুর এতদিন পরে বাটে পড়েছে ব্যাংকিং খাতের আরেক জালিয়াত পিকে হালদারের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট ও পাচারে সহায়তাকারী হিসাবে। ভালো করে তদন্ত করলে দেখা যাবে, রিজার্ভ লুটের সাথেও পি কে হালদার জড়িত!
Read More

Tuesday, March 9, 2021

মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ)


মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) ১৪০০+ বছর আ‌গে উম্মত‌দের শি‌খি‌য়ে‌ছেন, খাবার শে‌ষে হাত ও আঙ্গুল চে‌টে খে‌তে, কারন এ‌তে উপকার নি‌হিত, আর আজ‌কের বিজ্ঞানও তা আ‌বিস্কার ও প্রমান ক‌রে‌ছে।

হা‌দিস : ১
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করবে, তখন হাত চাটা নাগাদ তোমরা হাতকে মুছবে (ধোয়া) না।’
(বুখারি : ৫২৪৫)
হা‌দিস : ২

রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করো তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’
(ইবনে মাজাহ : ১৯১৪)

এবার দে‌খি বিজ্ঞান কি ব‌লে ?
আমরা খাবার মুখে দেয়ার পর চিবাই এর পর খুব সহজে গিলে ফেলি। কিন্তু অনেক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকার পর খাদ্য গিলতে চেষ্টা করলে খাদ্যনালীতে খাবার আটকে যায়।
কেন এমন হয়? এর কারণ হলো মুখের ভেতর এক ধরণের পিচ্ছল তরল পদার্থ থাকে যা লালা নামে পরিচিত। এই লালার সাথে খাদ্য মিশে খাদ্য পিচ্ছিল হয় এবং সহজে খাদ্য নালী পার হয়ে পেটে যায়। মুখের লালা কমে গেলে বা শুকিয়ে গেলে খাদ্য আর পিচ্ছিল থাকে না ফলে খাদ্য গলায় আটকে যায়।
দিনে মানুষ অনেকবার থুতু ফেলে এই থুতুই হলো লালা যাকে সোজা বাংলায় বলে ছেপ। লালা মুখের ভেতরের কিছু বিশেষ স্থান থেকে ক্ষরিত হয়, এই স্থান গুলোকে বলে লালাগ্রন্থি। মানবদেহে তিনটি প্রধান লালাগ্রন্থির কথা বলা হয়েছে। এগুলো হ’ল: প্যারোটিড, সাবম্যান্ডিব্যুলার ও সাব-লিঙ্গুয়াল। কিন্তু এখন নতুন একজোড়া লালাগন্থির সন্ধান পাওয়া গেছে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘টিউবারিয়াল স্যালিভারি গ্ল্যান্ড`, যা ২০২০ সা‌লের নতুন আ‌বিস্কার।
উন্নত বিশ্ব তথা ইউরোপের মানুষ হাত দিয়ে না খেয়ে চামুচ দিয়ে খাবার খান। তবে আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং এশিয়ার বেশিরভাগ মানুষ ছুরি ও চামচের পরিবর্তে হাত দিয়ে খান। আপনি হয়ত শুনে অবাক হবেন যে, হাত দিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কারণ, খাওয়া একটি ইন্দ্রিয়গত ও মনোযোগী প্রক্রিয়া। দৃষ্টি, গন্ধ, শব্দ, স্বাদ এবং স্পর্শ এর মত আপনার অনুভূতিগুলো ব্যবহার হয় বলে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটি পরিপূর্ণতা পায়। হাত দিয়ে খেলে শরীর, মন ও আত্মার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়। এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক রেস্টুরেন্টে হাত দিয়ে খাওয়াকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাত দিয়ে খাবার খেলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগই পায় না। আসলে হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার সময় আমাদের হাতে থাকা বেশ কিছু উপকারি ব্যাকটেরিয়া (Normal Flora নামক) মাঝে মধ্যে শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি হজমের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি মুখ, গলা এবং ইন্টেস্টাইনকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আধুনিক গবেষণা বলছে হাত দিয়ে খাওয়ার সময় আঙুলের একেবারে মাথার কাছে থাকা হাজা‌রো নার্ভগুলি যখনই খাবারের স্পর্শ পায়, তাখনই একটা বিশেষ সিগনাল স্টমাকে এসে পৌঁছায়, খাবারে আকার, আঁশ, শক্ত না নরম ইত‌্যা‌দি তথ‌্যসহ। ফলে খাবারটি শরীরে প্রবেশ করার আগেই পাকস্থলী নিজের কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়, রস ও এনজাইম নিঃসৃত করার জন্য। খাবারের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনার বিপাক পরিচালিত হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করে, যা ভালোভাবে হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। সুস্থ দেহ ও মনের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিপাক প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আর আঙ্গুল চে‌টে খে‌লে উপকারী ব‌্যাক‌টে‌রিয়ার পাশাপা‌শি বেশী প‌রিমা‌নে লালা বা পাচক রস খাবা‌রের পেছ‌নে পাকস্থলী‌তে পৌঁছায়, এ‌তে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং এ র‌সের সা‌থে গলায় লে‌গে থাকা খাদ‌্যকনাও পাকস্থলী‌তে চ‌লে যায়। কারন আঙ্গুল চাট‌লে, আঙ্গু‌লের নার্ভ ম‌স্তি‌স্কে সং‌কেত পাঠায় আ‌রো বেশী প‌রিমা‌নে স‌্যা‌লিভা বা লালা নিঃসর‌নের জন‌্য।
সক‌লের ধারনা বাচ্চারা সুরক্ষিত বোধ করার জন্য নিজেরাই শান্ত করার উপায় হিসাবে তাদের থাম্ব চুষে। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে এটি স্পষ্টতই সত্য তবে আরও কিছু কারণ থাকতে পারে যা নির্দিষ্ট বাচ্চাদের আঙ্গুল চুষতে আকৃষ্ট করা হয়।
চীনা পেডিয়াট্রিক্স মে‌ডি‌সি‌নের দৃষ্টিকোণ থেকে, আঙ্গুল হজম পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত। চীনে শিশুদের জন‌্য সাধারণত চিকিৎসার একটি পদ্ধতি রয়েছে, যা জিয়াও এর তুই না (Xiao Er Tui Na) নামে পরিচিত, যা শিথিলভাবে পেডিয়াট্রিক মেডিকেল ম্যাসেজ হিসাবে প্রকাশ করে। এই সিস্টেমে একটি পদক্ষেপ হল একটি বৃত্তাকার গতিতে থাম্বের (বৃদ্ধাঙ্গু‌লের) প্যাডটি ঘষানো বা বারবার থাম্বের রেডিয়াল (বাইরের) প্রান্তে স্ট্রোক করা। এর প্রতিটি কৌশল বাচ্চা বা ছোট বাচ্চার হজম সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। একটি বাচ্চার হজম ব্যবস্থা প্রায় ৭ বা ৮ বছর বয়স পর্যন্ত অনুন্নত এবং অপরিপক্ক হিসাবে বিবেচিত হয়, এজন্য কম বয়সী শিশুদের কোলিক, রিফ্লাক্স এবং অন্যান্য হজমের লক্ষণ প্রবণ।
সুতরাং, ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসকরা বিবেচনা করেন যে, যখন কোনও শিশু তাদের থাম্বটি প্রচুর পরিমাণে চুষে নেয়, তারা তাদের হজম সিস্টেমকে উদ্দীপনার জন্য স্বভাবজাতভাবে এটি করে, যা আসলে তাদের পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।
মন্তব‌্যঃ
উপ‌রোক্ত আ‌লোচনার পর আর বলার কি দরকার আ‌ছে যে, হা‌দি‌সের বক্তব‌্যটি মানব দে‌হের স্রষ্টাই তাঁর প্রতি‌নি‌ধির মাধ‌্যমে মানব জা‌তির কা‌ছে ১৪০০+ বছর আ‌গে পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন ?
প্রমানঃ
New glands found in the human body... in 2020!
Scientists discover new pair of salivary glands in centre of head.
The Function of the Salivary Glands and Why They Benefit Your Oral Health.
The Digestive Process: Digestion Begins in the Mouth.
Salivary Glands: How They Protect Your Oral Health ?
Saliva and gastrointestinal functions of taste, mastication, swallowing and digestion.
Is there a therapeutic element to thumb sucking?
Handling food with your fingers releases digestive juices and enzymes.
কোরআন ও হা‌দি‌সের বাণী গ‌বেষনা তথ‌্য সব পর্ব একসা‌থে একজায়গায় পে‌তে Visit কর‌তে পা‌রেন :
https://www.facebook.com/groups/3653692774658521/?ref=share
অন‌্য মুস‌লি‌মের জানার জন‌্য শেয়ার বা ক‌পি/পেষ্ট করুন, সওয়াব অর্জন করুন।
Read More

Sunday, March 7, 2021

ও আমার দেশের মাটি

শিরোনামঃ ও আমার দেশের মাটি

রবীন্দ্রসঙ্গীত

ও আমার দেশের মাটি, তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা ॥
তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,
তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা ॥
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে।
তোমার ‘পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,
তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা ॥
ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা–
তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে–
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা ॥

Song of Rabindranath Tagore



Read More

Thursday, January 28, 2021

কল-রেডী

 কল-রেডী" । কল-রেডী আছে আগের জায়গায়। পুরান ঢাকার


লক্ষ্মীবাজার, বয়স হলো ৬৭।"
খুব পরিচিত একটা নাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের
ভাষনেও আমরা এই "কল-রেডী" দেখি। আসুন "কল-
রেডী"র ইতিহাস জানা যাক।


কল-রেডী'র ইতিবৃত্তঃ
"১৯৪৮ সালে সূত্রাপুরের দুই ভাই হরিপদ ঘোষ ও দয়াল
ঘোষ মিলে একটি দোকান চালু করেন। নাম আরজু
লাইট হাউস। লাইট হাউস নাম হলেও লাইটের
পাশাপাশি গ্রামোফোনও ভাড়া দেওয়া হতো।
বিয়ে-শাদিতে লাইটের সঙ্গে গ্রামোফোনও ভাড়া
নিত লোকজন। দোকানটি পরিচিত হয়ে ওঠে অল্প
দিনেই। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে
কয়েকটি মাইক নিয়ে আসেন দুই ভাই। তাতেও
কুলাচ্ছিল না। হরিপদ ঘোষ মাইকের কারিকরি
জানতেন। যন্ত্রপাতি কিনে এনে নিজে কয়েকটি
হ্যান্ডমাইক তৈরি করেন।


১৯৪৮ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই পূর্ব
পাকিস্তানে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে।
আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মাইক ভাড়া নিতে শুরু
করেন আরজু লাইট হাউস থেকে। চাহিদা বাড়তে
থাকে দিনে দিনে। তাই তাইওয়ান, জাপান, চীন
থেকে আনা হয় মাইক। তবে মাইকের মূল অংশ মানে
ইউনিট বেশি আনা হতো বাইরে থেকে। এরপর
নিজের দোকানের কারিগর দিয়ে হরিপদ ঘোষ
তৈরি করিয়ে নিতেন হর্নসহ বাকি অংশ।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে সভা-
সমাবেশ বেড়ে যায়। এ ছাড়া সামাজিক আর ধর্মীয়
অনুষ্ঠানেও মাইক ভাড়া যাচ্ছিল। তাই মাইক দিয়ে
নাম দেওয়ার ভাবনা করলেন দুই ভাই। অবশেষে
দয়াল ঘোষ নামটি ঠিক করেন-কল-রেডী। কারণ
বললেন, মানুষ তো কাজের জন্যই আমাদের কাছ
থেকে মাইক ভাড়া নেয়। তারা কল করলে আমরা যেন
রেডি থাকি। এক কথায়, কল করলেই রেডী। সে থেকে
কল-রেডী।

ভালো সেবা দেওয়ার সুনাম থাকায় যেকোনো সভা-
সমাবেশ ও বড় বড় অনুষ্ঠানে ডাক পড়তে থাকে কল-
রেডীর। ১৯৫৪ সালে কল-রেডীর কর্মী ছিল ২০ জন।
সভা-সমাবেশ সুনামের সঙ্গেই সম্পন্ন করতেন
হরিপদ ও দয়াল ঘোষ। মাঝেমধ্যে তাঁদের ছোট দুই
ভাই গোপাল ঘোষ ও কানাই ঘোষও সাহায্য করতেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট
নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯
সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ
নির্বাচনের সভা-সমাবেশেও যোগ দিয়েছে কল-
রেডী। কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে
দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন পূর্ব পাকিস্তানের বাঘা
বাঘা নেতা।


বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণের মাইক্রোফোন হলো কল-
রেডী। হাটে-মাঠে-ঘাটে সব জায়গায় তখন
স্বাধিকারের চেতনায় ফুঁসছে মানুষ। সত্তরের
নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে সারা দেশের মানুষ ভোট
দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী
ক্ষমতা হস্তান্তর করে না। দফায় দফায় মিটিং
করেও হচ্ছে না সুরাহা। চলে এলো মার্চ। কল-রেডীর
মালিক হরিপদ ঘোষ ও দয়াল ঘোষকে ধানমণ্ডির
বাসায় ডেকে পাঠালেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দিলেন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে [তৎকালীন রেসকোর্স
ময়দান] মাইক লাগাতে। কাজে নেমে পড়েন হরিপদ
ও দয়াল ঘোষ। তখন রেসকোর্সে মাইক লাগানো
সোজা ছিল না-শাসকগোষ্ঠীর চোখ ছিল সদা
সতর্ক। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে মাইক
লাগাতে লাগলেন দুই ভাই। ৭ই মার্চের বাকি আর
তিন দিন। মাইক লাগিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে
দিলেন হরিপদ আর দয়াল ঘোষ। কিছু বাড়তি মাইক
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মজুদ রাখেন যেন
সমাবেশের দিন তাৎক্ষণিকভাবে লাগিয়ে নিতে
পারেন। তিন দিন ধরে ৩০ জন কর্মী নিয়ে বাঁশ, খুঁটি
গাঁথার কাজ করেন ঘোষেরা। তারপর সেই দিনটি
আসে-৭ই মার্চ। কবি গিয়ে দাঁড়ান জনতার মঞ্চে।
কল-রেডী'তে উচ্চা্রিত হলো ‘এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম
স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণকালে যেন কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি
না হয়, সে জন্য নিজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি
একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়েছিলেন
হরিপদ ঘোষ। অতিরিক্ত তিনটি মাইক্রোফোন
সঙ্গে রেখেছিলেন দয়াল ঘোষ।

এত বড় একটি সমাবেশে মাইক সার্ভিস দিয়ে কত
টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিল কল-রেডী? জানতে
চাইলে হরিপদ ঘোষের ছেলে কল-রেডীর বর্তমান
পরিচালক সাগর ঘোষ জানান, সেই সময়
পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করার সুযোগ বাবা ও
জ্যাঠা মশাইয়ের ছিল না। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ
দিয়েছেন সেটাই বড় কথা। আর তা ছাড়া দেশের
পরিস্থিতি তখন সবাই কম-বেশি জানতেন। আর
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাবা-কাকার ভালো সম্পর্ক থাকার
কারণে বাবা শুধু খরচটাই নিতেন। আরো বললেন,
‘সেদিন সেই সমাবেশে আমার বাবার হাতে তৈরি
অনেক হ্যান্ড মাইক ব্যবহৃত হয়েছিল।’

৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর যে
মাইক্রোফোনে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ
দিয়েছিলেন সেই মাইক্রোফোন, মাইক্রোফোনের
স্ট্যান্ড আজও আছে কল-রেডীর কাছে। দেশ স্বাধীন
হওয়ার পর আর অন্য কেউ সেই মাইক্রোফোনের
সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেননি। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২
সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আবারও কল-
রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ
দিয়েছিলেন।

দেশ-বিদেশের অনেক বিখ্যাত মানুষ কল-রেডীর
মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ, শেখ হাসিনাসহ আরো অনেকে
আছেন এই তালিকায়।

বিদেশের নেতাদের মধ্যে আছেন ভারতের ইন্দিরা
গান্ধী। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসে তাঁর জন্য
গড়া ইন্দিরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর
মাইক্রোফোনে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর
১৯৯৬ সালে ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা
কল-রেডীর মাইক্রোফোনে ভাষণ দেন।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন,
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়িও কল-
রেডীতে কথা বলেছেন। এর বাইরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সমাবর্তনে মাইক
সার্ভিস দেয় কল-রেডী।

১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শেখ
হাসিনার প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে মাইক
সার্ভিস দিয়েছে কল-রেডী।
কল-রেডী আছে আগের জায়গায়। পুরান ঢাকার
লক্ষ্মীবাজার, বয়স হলো ৬৭।"
লেখা সংগ্রহ: Fahim Al Shahriyarকপি
Read More

Sunday, January 24, 2021

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো?

==============================
যেরকম নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, খুব সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। বর্ণ হিন্দু থেকে শুরু করে কিছু কিছু মুসলমানও চাননি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক। কলকাতার হিন্দু এলিটরা ছিলো এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। তারা লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছে ১৮ বার স্মারকলিপি পাঠায় এই মর্মে যে, ঢাকায় যেনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হয়।
.
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন উঠে বঙ্গভঙ্গ রদের কাউন্টার রি-অ্যাকশন হিশেবে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে পূর্ববঙ্গের মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গের মধ্যে আশার সঞ্চার দেখে। অন্যদিকে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ায় পশ্চিম বঙ্গের হিন্দু জমিদারশ্রেণী ক্ষেপে যায়। তারা বিভিন্ন সভা-সমিতি করে প্রতিবাদ জানায়। ‘জমিদার’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সময় ‘রাখী বন্ধন’ উৎসবের ডাক দিয়ে হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের আহ্বান করেন।
.
ব্রিটিশ সরকার প্রতিবাদের মুখে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ১৯১১ সালে। এখন আবার মুসলিমরা অসন্তুষ প্রকাশ করে। বঙ্গভঙ্গের ফলে তাদের ঘরে যে আশার প্রদীপ জ্বলেছিলো, বঙ্গভঙ্গ রদের সাথে সাথে তা দপ করে নিভে যায়। বঙ্গভঙ্গ রদের ‘ক্ষতিপূরণ’ হিশেবে পূর্ববঙ্গের মুসলিম নেতৃবৃন্দ ব্রিটিশ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে।
.
১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জের সাথে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ, নওয়াব সৈয়দ আলী চৌধুরী, এ কে ফজলুল হক দেখা করেন। বঙ্গভঙ্গ রদের প্রতিক্রিয়া হিশেবে তাঁরা ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান । পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর মুসলিম জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার জন্য কেনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন সেটার স্বপক্ষে তারা যুক্তি দেখান।
.
লর্ড হার্ডিঞ্জ মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রস্তাব মেনে নেন । ব্রিটিশ সরকারের ডিশিসন মেকিং-এর দিকে তাকালে দেখা যায়, মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায় ছিলো তাদের কাছে- জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ! হিন্দু জমিদারদের তোপের মুখে পড়ে তারা বঙ্গভঙ্গ রদ করে, এবার মুসলিমরা তাদেরকে জাপটে ধরলো- আমাদেরকে একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিতে হবে। ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবকে সমর্থন করলো। এবার হিন্দুরা এসে বললো- মুসলমানদের জন্য আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়!?
.
মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রস্তাবের মাত্র ষোলো দিনের মাথায় ১৯১২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ডঃ রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটা হিন্দু প্রতিনিধি দল ভাইসরয়ের সাথে দেখা করে। তারা আপত্তি জানায়- কৃষক অধ্যুষিত পূর্ববঙ্গে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়? কেউ কেউ ব্যাঙ্গ করে বলে- চাষার দেশে আবার বিশ্ববিদ্যালয়!
.
‘পূর্ববঙ্গে একটা বিশ্ববিদ্যালয় হবে’ এটা শুনার সাথে সাথে কলকাতায় প্রতিবাদ শুরু হয়। এমনকি সেই প্রতিবাদের সুর ঢাকায়ও আসে। ১৯১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত কলকাতা, ঢাকাসহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১১ টি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়- ঢাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে দেয়া যাবে না।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের শিক্ষক ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার তার আত্মজীবনী ‘জীবনের স্মৃতিদ্বীপে’ লিখেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন উঠলে মুসলিমরা খুশি হলেও হিন্দুরা ক্ষেপে যায়। এমনকি কলকাতার যেসব হিন্দুরা কোনোদিন কোনো সভা-সমাবেশে যেতো না, তাদেরকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধীতার প্রশ্নে সভা-সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড়ো বিরোধী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। লর্ড হার্ডিঞ্জ তাকে জিজ্ঞেস করেন- কিসের বিনিময়ে আপনি বিরোধীতা বাদ দিবেন? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন-
.
যদি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো চারটি অধ্যাপক পদ চালু করেন, তবে আমি বিরোধীতা করবো না।
লর্ড হার্ডিঞ্জ সেটা মঞ্জুর করলে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা থেকে সরে আসেন।
.
সৌজন্য -- আরিফুল ইসলাম
Read More